Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডায় ৪ শিশুসহ ৬ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কানাডার রাজধানী অটোয়ার একটি বাড়ি থেকে চার শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ মার্চ) গভীর রাতে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নিহতরা হলেন- ৩৫ বছর বয়সী এক নারী এবং তার ৭, ৪, ২ বছর ও ২ মাস বয়সী শিশু সন্তান। সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে কানাডিয়ান পুলিশ। নিহতরা শ্রীলংকার নাগরিক। কিছুদিন আগে তারা কানাডায় গিয়েছিলেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়ানক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত। অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের বাবাও হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ফেব্রিও ডি-জয়সা নামে শ্রীলংকার ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার ছয়টি এবং হত্যাচেষ্টার একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ডি-জয়সা ওই পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।

অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণরূপে নিরপরাধ মানুষের ওপর সংঘটিত নির্বোধ সহিংসতা। অটোয়ার মেয়র মার্ক সাটক্লিফ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এটি ‘আমাদের শহরের ইতিহাসে সহিংসতার সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি’।

বুধবারের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ অটোয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলী বারহাভেনের একটি বাড়ির ভেতরে পাওয়া যায়। মূলত বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু আগে জরুরি কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের দেখতে পায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কানাডায় ৪ শিশুসহ ৬ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১২:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কানাডার রাজধানী অটোয়ার একটি বাড়ি থেকে চার শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ মার্চ) গভীর রাতে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নিহতরা হলেন- ৩৫ বছর বয়সী এক নারী এবং তার ৭, ৪, ২ বছর ও ২ মাস বয়সী শিশু সন্তান। সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে কানাডিয়ান পুলিশ। নিহতরা শ্রীলংকার নাগরিক। কিছুদিন আগে তারা কানাডায় গিয়েছিলেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়ানক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত। অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের বাবাও হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ফেব্রিও ডি-জয়সা নামে শ্রীলংকার ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার ছয়টি এবং হত্যাচেষ্টার একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ডি-জয়সা ওই পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।

অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণরূপে নিরপরাধ মানুষের ওপর সংঘটিত নির্বোধ সহিংসতা। অটোয়ার মেয়র মার্ক সাটক্লিফ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এটি ‘আমাদের শহরের ইতিহাসে সহিংসতার সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি’।

বুধবারের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ অটোয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলী বারহাভেনের একটি বাড়ির ভেতরে পাওয়া যায়। মূলত বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু আগে জরুরি কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের দেখতে পায়।