বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা একটি জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে এ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বহুবার দাবি জানানোর পরও এখনও জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া ও কাঠিরা গ্রামের মাঝের খালের ওপর স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত হয় কাঠের এই সাঁকো। সাঁকোটি দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী, শ্রীশ্রী হরি ঠাকুরের মন্দিরের ভক্তসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন তারা।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এ এলাকায় অন্তত পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে আর কোনো সেতু নেই। ফলে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এবং চিকিৎসার জন্য রোগী পরিবহন—সবক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় যুব সমাজ প্রতিবছর নিজেদের অর্থ ও শ্রমে সাঁকোটি সংস্কার করলেও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত রায় বলেন, ২০০২ সালে প্রথম এই সাঁকো তৈরি করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবি আজও পূরণ হয়নি।
একই গ্রামের লিমন সরদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে কৃষি উৎপাদন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি গ্রামে গাড়ি প্রবেশ করতে না পারায় ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও সীমাহীন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী দ্রুত এ এলাকায় একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী জানান, ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি অবহিত করেননি। তবে খুব শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারি অর্থায়নে ব্রিজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।