রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
কাজে যোগ না দেওয়া ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের (পলাতক পুলিশ সদস্যদের) দেখামাত্র গ্রেপ্তার করা হবে এবং অপরাধী হিসেবে বিচার করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মেধার বাইরে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। এটা আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হবে। কিন্তু আমাদের আরও হয় তো সময় দিতে হবে। সক্ষমতার কোনো ব্যাপার নেই। আগে আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম দিত। অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জন দিত। আপনারা বলছেন পুলিশ বাণিজ্য করার জন্য দিয়েছে। এখন কিন্তু এই নামগুলো পাবলিকে দিচ্ছে। ১০-১৫ জনের যদি নাম দেয় আর কতগুলো দিয়ে দেয় অজ্ঞাত।
তিনি বলেন, আমরা রিসেন্টলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি- এই রকম যারা কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়া হবে। এগুলো না হলে তারা কিন্তু কিছু কিছু নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। অনেক নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আপানারা এটাও জানেন তারা (মামলাকারীরা) থ্রেট করে এই তুমি যদি টাকা না দাও তোমার নাম দিয়ে দেব। এটা কিন্তু হচ্ছে আপনারা (সাংবাদিক) রিপোর্ট করেছেন। এজন্যে কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের গত ১৫ বছর ধরে নিয়োগ হয়েছে। কিছু মেধারভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু যারা দলীয় বিবেচনায় চাকরি পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বাহিনীতে ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা যোগদান করেনি। তারা আর পুলিশ নয়, তারা সন্ত্রাসী। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহরাব হোসেন ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।