জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় রাস্তায় যতো হইচই বিতন্ডা তার কিছুই সরাসরি সইতে হয় না গণপরিবহণ মালিকদেরকে। তাদের ড্রাইভার ও পরিবহণ শ্রমিকরা এসবের মুখোমুখি হন। অথচ ডিজেল পেট্রোলের লাফিয়ে বাড়ায় মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে নিলেও বাস ও ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারদের জীবনে আয় বাড়েনি।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম একলাফে অনেক বাড়ার পর অন্যসব পণ্যের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। পথচলা সাধারণ নাগরিকরা ক্ষোভ ঝাড়েন গণপরিবহণ কর্মীদের উপর। অথচ এসব বাসের শ্রমিকরা বিভিন্ন পেশার দরিদ্র ও নিম্নআয়ের নাগরিকদের মতোই কষ্টে আছে।
এই দৃশ্য সম্প্রতি তেঁজগাও ট্রাক স্ট্যান্ডের এক বিকেল-সন্ধায় ধারণ করা। এমন সময় এখানে কোন ট্রাক অলস দাঁড়িয়ে থাকে না। অথচ এই কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, পিক-আপ অলস বসে ছিল। কারণ হিসেবে মালিকরা জানান, ভাড়া বাড়ানোর পর এসব গাড়ি নেয়ার লোক কমে গেছে।
অনেক ট্রাক মালিক ব্যাংকে ঋণগ্রস্ত। ব্যবসা মন্দা গেলে তাদের কিস্তি দেয়া অসম্ভব হবে বলে দাবী করেন। তখন ট্রাকের মালিকানাও হাতছাড়া হবে। সিএনজি’র দাম বাড়েনি। কিন্তু এই গ্যাসের গাড়ির চালকদের জীবনে সব খরচ অনেক বেড়েছে। তাদের কণ্ঠে রূঢ় বাস্তবতার বর্ণণা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পাঠাও-উবারে রাইড শেয়ার করা যানবাহনের চালকরাও বিচিত্র সমস্যায়। ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন, কিন্তু যারা চড়তে চায় তারা বেশি ভাড়া দিতে চায় না।