আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমাতঙ্কের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৬ জুন) এই ঘটনা ঘটে। কাতার এয়ারওয়েজের একটি প্লেনে বোমাতঙ্কের খবর ছড়িয়ে পড়ে।

বোমা আছে, যাত্রীর এমন চিৎকারে মধ্যরাতে আতঙ্ক ছড়াল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে ব্রিটেনগামী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে। তারপর দ্রুত উড়োজাহাজ খালি করে শুরু হয় তল্লাশি। কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হলেও সেখানে কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, বোমাতঙ্কের কারণে সোমবার (৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে বিমানবন্দরেই দাঁড়িয়ে ফ্লাইটটি। তবে এখনো কোনো সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান মেলেনি। ৫৪১ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে দোহা হয়ে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল কাতার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটির।

হঠাৎ প্লেনের এক যাত্রী চিৎকার করে বলে ওঠেন বোমা, আমার সিটের নিচে বোমা রাখা আছে। প্লেনে বোমা আছে এমন খবর ছড়ানোর পরই হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায় বিমানবন্দরে।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেক-অফের আগে এক যাত্রী বিমানে বোমা রাখা আছে চিৎকার করতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদের। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)।

জরুরি ভিত্তিতে সেখান যাত্রীদের প্লেন থেকে নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালায়। তবে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা এ ধরনের কোনো বস্তু সেখানে পাওয়া যায়নি।

যে যাত্রী সিটের নিচে বোমা থাকার কথা বলেছিলেন তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কোথা থেকে জানতে পারলেন বিমানে বোমা আছে?

জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানান, অন্য এক যাত্রী তাকে জানিয়েছেন যে ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্বে ওই যাত্রীকে বিমানবন্দরে ছাড়তে আসা তার বাবাকে ডাক দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি বেশ কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখান। ওই যাত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

পরে ওই যাত্রীর বাবার সঙ্গে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কর্মকর্তরা কথা বলেন। ওই যাত্রীর বাবা জানান, তার ছেলে বিরল রোগে আক্রান্ত। তার অসুস্থতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ওই তরুণের শারীরিক পরীক্ষার বিভিন্ন কাগজপত্র দেখানো হয়েছে বিমানবন্দর ওসিআইএসএফ কর্মকর্তাদের। এগুলো যাচাই করে দেখা গেছে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।