Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা আক্রান্ত হয়ে চার দিন পর হাসপাতাল থেকে ফিরলেন ববিতা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী ববিতাকে টানা চার দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর করোনা নেগেটিভ হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরে যান। আপাতত সুস্থ আছেন তবে শারীরিক দুর্বলতা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি ববিতা।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ববিতার ছোট বোন চম্পা।

তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন আপা। জ্বর ছিল না, তবে অস্বস্তি লাগছিল। এরপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে জানতে পারেন করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরটি। কালক্ষেপণ না করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৮ জুলাই ববিতাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

চম্পা আরও বলেন, ‘এমনিতে দেশের সার্বিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে আপার করোনায় আক্রান্তের খবরে আমরা ঘাবড়ে যাই। একা মানুষ, কীভাবে কী করবে, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তারপর বড় আপা (প্রখ্যাত নায়িকা সুচন্দা) ও আমরা মিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিই। টানা চার দিন থাকার পর করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।’

এর আগেও একবার ববিতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান চম্পা। তবে সেবার এতটা কষ্ট পাননি, এবার যেমনটা পেয়েছেন।

ববিতার একমাত্র ছেলে অনিক বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় থাকেন। পড়াশোনা শেষে সেখানে তিনি চাকরি করছেন। ছেলের কাছে সময় কাটাতে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় পর সেখানে যান। এর মধ্যেও কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে কানাডার টিকিট বাতিল করতে হয়েছে বলেও জানান চম্পা।

কিংবদন্তি নির্মাতা জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ববিতার। এখানে তিনি রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে ফরিদা আক্তার পপি থেকে ‘ববিতা’ হয় ওঠেন জহির রায়হানের উর্দু সিনেমা ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’র মাধ্যমে।

বলে রাখা যায়, নায়িকা হিসাবে ববিতার প্রথম সিনেমা ‘শেষ পর্যন্ত’। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, যেদিন ববিতার মা মারা যান। এতে তার নায়ক ছিলেন রাজ্জাক।

আলোচিত সিনেমা ‘টাকা আনা পাই’ ববিতাকে চলচ্চিত্রের শক্ত আসন দিলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’কে। এ সিনেমায় অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে- ‘অশনি সংকেত’, ‘নিশান’, ‘মন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিনকন্যা’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘মিস লঙ্কা’, ‘জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি, ইত্যাদি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রশাসনের ব্যর্থতায় সুযোগ সন্ধানীরা বিএনপির বিরুদ্ধে লেগেছে : যুবদল সভাপতি

করোনা আক্রান্ত হয়ে চার দিন পর হাসপাতাল থেকে ফিরলেন ববিতা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী ববিতাকে টানা চার দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর করোনা নেগেটিভ হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরে যান। আপাতত সুস্থ আছেন তবে শারীরিক দুর্বলতা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি ববিতা।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ববিতার ছোট বোন চম্পা।

তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন আপা। জ্বর ছিল না, তবে অস্বস্তি লাগছিল। এরপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে জানতে পারেন করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরটি। কালক্ষেপণ না করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৮ জুলাই ববিতাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

চম্পা আরও বলেন, ‘এমনিতে দেশের সার্বিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে আপার করোনায় আক্রান্তের খবরে আমরা ঘাবড়ে যাই। একা মানুষ, কীভাবে কী করবে, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তারপর বড় আপা (প্রখ্যাত নায়িকা সুচন্দা) ও আমরা মিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিই। টানা চার দিন থাকার পর করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।’

এর আগেও একবার ববিতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান চম্পা। তবে সেবার এতটা কষ্ট পাননি, এবার যেমনটা পেয়েছেন।

ববিতার একমাত্র ছেলে অনিক বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় থাকেন। পড়াশোনা শেষে সেখানে তিনি চাকরি করছেন। ছেলের কাছে সময় কাটাতে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় পর সেখানে যান। এর মধ্যেও কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে কানাডার টিকিট বাতিল করতে হয়েছে বলেও জানান চম্পা।

কিংবদন্তি নির্মাতা জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ববিতার। এখানে তিনি রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে ফরিদা আক্তার পপি থেকে ‘ববিতা’ হয় ওঠেন জহির রায়হানের উর্দু সিনেমা ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’র মাধ্যমে।

বলে রাখা যায়, নায়িকা হিসাবে ববিতার প্রথম সিনেমা ‘শেষ পর্যন্ত’। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, যেদিন ববিতার মা মারা যান। এতে তার নায়ক ছিলেন রাজ্জাক।

আলোচিত সিনেমা ‘টাকা আনা পাই’ ববিতাকে চলচ্চিত্রের শক্ত আসন দিলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’কে। এ সিনেমায় অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে- ‘অশনি সংকেত’, ‘নিশান’, ‘মন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিনকন্যা’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘মিস লঙ্কা’, ‘জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি, ইত্যাদি।