বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস নরওয়েজিয়ান এয়ার। করোনাভাইরাসের মহামারীতে আর্থিক সংকটে কঠিন চাপের মুখে পড়েছে এয়ারলাইনসটি। মঙ্গলবার প্রকাশিত আয় বিবরণীতে দেখা যায়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের ১৪০টি উড়োজাহাজের মধ্যে চলাচল করেছে মাত্র ২৫টি। গত বছর একই সময়ে যেখানে যাত্রী চাহিদা ছিল ১ কোটি ৫ লাখ, এ বছর তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ লাখে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ত্রৈমাসিক পরিচালন ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি ক্রাউন (৩১ কোটি ডলার)। আর গত বছরের ১৩০ কোটি ক্রাউনের তুলনায় চলতি বছর আয় কমে গেছে অন্তত ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নরওয়েজিয়ান এয়ারের হাতে থাকা নগদ অর্থও কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৪০ কোটি ক্রাউনে।
সোমবার নরওয়েজিয়ান এয়ার জানিয়েছে, নরওয়ে সরকার তাদের বাড়তি আর্থিক সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা তাদের মারাত্মক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন : অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত বিমানের কলকাতা ফ্লাইট
১৯৯৩ সালে নরওয়েজিয়ান এয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়। এক দশক পরে এর কার্যক্রম দ্রুত বাড়তে থাকে। বিশ্বের অন্যতম সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস রায়ানএয়ারের অনুসরণে নরওয়েজিয়ান এয়ারও ফ্লাইট বাড়াতে থাকে। ২০১২ সালে তারা একবারে ২২২টি উড়োজাহাজ কেনার আদেশ দেয়, যা ইউরোপের বিমান খাতের ইতিহাসে রেকর্ড।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জ্যাকব শ্র্যাম এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত খুবই হতাশাজনক। মনে হচ্ছে, মুখে চড় মারা হয়েছে।
জ্যাকব শ্র্যাম জানিয়েছেন, নরওয়ে সরকার সহায়তা না করায় কর্মী সংখ্যা ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ৬০০তে আনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এই সংকটে তাদের আরও বেশি উড়োজাহাজ অচল হয়ে পড়বে এবং ফ্লাইটও কমে যাবে।