Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে : আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, মৌলিক বিষয়ে সবার মতামতের মধ্য দিয়ে আমার এক জায়গায় যেতে পারি। কমিশন আলাদা কোনো সত্তা নয়। কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে। আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৪তম দিনের আলোচনা শুরুর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন আপনাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে মাত্র। আপনাদের প্রচেষ্টায় আমরা সহযোগী হিসেবে যেন ভূমিকা পালন করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমাদের চেষ্টা। ফলে আমাদের সকলে মিলেই সফল হতে হবে।

তিনি বলেন, সময় অনুযায়ী প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না, অনিষ্পন্ন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। সময়ের স্বল্পতার বিষয়ে বিবেচনা করে অবস্থানগত পরিবর্তন করার আহ্বান জানান তিনি।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের সবাই মিলেই সফল হতে হবে। সফলতার মাপকাঠি হচ্ছে, আমরা একটা কাঠামোগত সংস্কারের ব্যাপারে একমত হতে পারছি কি না? সময় স্বল্পতার কারণে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি সময় স্বল্পতার কথা রাজনৈতিক দলগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে কিছু বিষয়ে আমাদের যতটুকু অগ্রগতি প্রয়োজন আমরা ততটুকু অগ্রসর হতে পারছি না। এই সপ্তাহের পরে সময় স্বল্পতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে যে, বাস্তবতায় বিবেচনায় আমাদের কিছু কিছু বিষয় খুব দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আশা করছি, সেগুলো আপনারা বিবেচনায় রাখবেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। যতদূর সম্ভব সবাই মিলে যেতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গত আলোচনাগুলোর মতোই কিছু অবস্থানগত পরিবর্তন অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা বিবেচনা করুন। যেন আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারি।

ঐকমত্য কমিশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কমিশন কোনো আলাদা এনটিটি নয়। এটি সবার অংশীদার। ফলে আমরা যদি কোথাও কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সবার। সেটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সুতরাং, ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার মাত্র। কমিশন আপনাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে। এটি আলাদা করে একটি সত্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, এটি নয়। নিয়োগের পর থেকেই আমরা চেষ্টা করছি যেন আপনাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারি, সেটাই আমাদের চেষ্টা।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন সময়ের সল্পতার কারণে, আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে যতটা প্রত্যাশিত অগ্রগতি প্রয়োজন ছিল, তা আমরা অর্জন করতে পারছি না এই সপ্তাহের পরে সময়ের সল্পতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, যে খুব দ্রুততার সাথে কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করছি এসব আপনারা বিবেচনায় রাখবেন। কোনো কোনো বিষয় নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় আছে, সেগুলো আপনারা জানেন।

ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ধন্যবাদের পাশাপাশি অনুরোধ করতে চাই, আমাদেরকে একটি জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। যতদূর সম্ভব সকলে মিলে যেতে হবে। সেই জন্যে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু অবস্থান গত পরিবর্তন অব্যাহত রাখবেন, আশা করি। কিন্তু সময়ের সল্পতা বিবেচনা করুন। যেন আমরা খুব দ্রুত জুলাই মাসের মধ্যেই একটা জাতীয় সনদ প্রনয়ণ করতে পারি। মৌলিক বিষয়গুলো যে জাতীয় সনদে সকলের মতামতের ভিত্তিতে এক জায়গায় আসতে পারি।

১৪তম দিনের আলোচনা বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুরু হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা উপস্থিত আছেন। আজকের আলোচ্য বিষয় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট; সংবিধান সংশোধন এবং এমপি নারী প্রতিনিধিত্ব।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে : আলী রীয়াজ

প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, মৌলিক বিষয়ে সবার মতামতের মধ্য দিয়ে আমার এক জায়গায় যেতে পারি। কমিশন আলাদা কোনো সত্তা নয়। কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে। আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৪তম দিনের আলোচনা শুরুর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন আপনাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে মাত্র। আপনাদের প্রচেষ্টায় আমরা সহযোগী হিসেবে যেন ভূমিকা পালন করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমাদের চেষ্টা। ফলে আমাদের সকলে মিলেই সফল হতে হবে।

তিনি বলেন, সময় অনুযায়ী প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না, অনিষ্পন্ন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। সময়ের স্বল্পতার বিষয়ে বিবেচনা করে অবস্থানগত পরিবর্তন করার আহ্বান জানান তিনি।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের সবাই মিলেই সফল হতে হবে। সফলতার মাপকাঠি হচ্ছে, আমরা একটা কাঠামোগত সংস্কারের ব্যাপারে একমত হতে পারছি কি না? সময় স্বল্পতার কারণে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি সময় স্বল্পতার কথা রাজনৈতিক দলগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে কিছু বিষয়ে আমাদের যতটুকু অগ্রগতি প্রয়োজন আমরা ততটুকু অগ্রসর হতে পারছি না। এই সপ্তাহের পরে সময় স্বল্পতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে যে, বাস্তবতায় বিবেচনায় আমাদের কিছু কিছু বিষয় খুব দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আশা করছি, সেগুলো আপনারা বিবেচনায় রাখবেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। যতদূর সম্ভব সবাই মিলে যেতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গত আলোচনাগুলোর মতোই কিছু অবস্থানগত পরিবর্তন অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা বিবেচনা করুন। যেন আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারি।

ঐকমত্য কমিশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কমিশন কোনো আলাদা এনটিটি নয়। এটি সবার অংশীদার। ফলে আমরা যদি কোথাও কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সবার। সেটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সুতরাং, ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার মাত্র। কমিশন আপনাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে। এটি আলাদা করে একটি সত্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, এটি নয়। নিয়োগের পর থেকেই আমরা চেষ্টা করছি যেন আপনাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারি, সেটাই আমাদের চেষ্টা।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন সময়ের সল্পতার কারণে, আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে যতটা প্রত্যাশিত অগ্রগতি প্রয়োজন ছিল, তা আমরা অর্জন করতে পারছি না এই সপ্তাহের পরে সময়ের সল্পতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, যে খুব দ্রুততার সাথে কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করছি এসব আপনারা বিবেচনায় রাখবেন। কোনো কোনো বিষয় নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় আছে, সেগুলো আপনারা জানেন।

ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ধন্যবাদের পাশাপাশি অনুরোধ করতে চাই, আমাদেরকে একটি জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। যতদূর সম্ভব সকলে মিলে যেতে হবে। সেই জন্যে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু অবস্থান গত পরিবর্তন অব্যাহত রাখবেন, আশা করি। কিন্তু সময়ের সল্পতা বিবেচনা করুন। যেন আমরা খুব দ্রুত জুলাই মাসের মধ্যেই একটা জাতীয় সনদ প্রনয়ণ করতে পারি। মৌলিক বিষয়গুলো যে জাতীয় সনদে সকলের মতামতের ভিত্তিতে এক জায়গায় আসতে পারি।

১৪তম দিনের আলোচনা বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুরু হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা উপস্থিত আছেন। আজকের আলোচ্য বিষয় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট; সংবিধান সংশোধন এবং এমপি নারী প্রতিনিধিত্ব।