Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাসে পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। তাই পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন।

রোববার (২৫ মে) দুপুরের দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ সভাপতি মিজানুর রহমান রতন।

তিনি জানান, সকাল ১০টায় বিপিসির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে দাবি বিবেচনার আশ্বাস পাওয়ার পরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে সকাল ৬টা থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ ভোক্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধের পরই সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে বিপিসি ও মালিক সমিতি। বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে সব দাবি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

তা ছাড়া, অন্যান্য দাবিগুলো দুই মাসের মধ্যে সুরাহা না হলে পুনরায় কর্মবিরতি যাবে বলেও জানান পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতারা।

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে অনেকগুলো দাবি মিলে যাওয়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কসপ ওনার্স এসোসিয়েশন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। তবে সংগঠনটি ধর্মঘটে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংগঠনটির মহাসচিব ফারহান নূর। তিনি বলেন, ধর্মঘটে যেতে হলে আল্টিমেটাম দিতে হবে। আমরা কোন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন জ্বালানি উপদেষ্টা সিএনজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন ২.৯৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়, এতোদিন পার হয়ে গেলেও পরে আর ১.৯৮ টাকা বাড়ানো হয় নি। এরপর কয়েক দফায় বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর কারণে আমাদের খরচ বেড়েছে কিন্তু কমিশন আর সমন্বয় করা হয় নি। এতে করে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে।

কমিশন বৃদ্ধিসহ পেট্রোল পাম্প মালিকদের ৭ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে— সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা, পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলে গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা, বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের বিচার ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন : শিল্প উপদেষ্টা

কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাসে পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট স্থগিত

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। তাই পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন।

রোববার (২৫ মে) দুপুরের দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ সভাপতি মিজানুর রহমান রতন।

তিনি জানান, সকাল ১০টায় বিপিসির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে দাবি বিবেচনার আশ্বাস পাওয়ার পরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে সকাল ৬টা থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ ভোক্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধের পরই সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে বিপিসি ও মালিক সমিতি। বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে সব দাবি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

তা ছাড়া, অন্যান্য দাবিগুলো দুই মাসের মধ্যে সুরাহা না হলে পুনরায় কর্মবিরতি যাবে বলেও জানান পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতারা।

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে অনেকগুলো দাবি মিলে যাওয়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কসপ ওনার্স এসোসিয়েশন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। তবে সংগঠনটি ধর্মঘটে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংগঠনটির মহাসচিব ফারহান নূর। তিনি বলেন, ধর্মঘটে যেতে হলে আল্টিমেটাম দিতে হবে। আমরা কোন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন জ্বালানি উপদেষ্টা সিএনজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন ২.৯৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়, এতোদিন পার হয়ে গেলেও পরে আর ১.৯৮ টাকা বাড়ানো হয় নি। এরপর কয়েক দফায় বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর কারণে আমাদের খরচ বেড়েছে কিন্তু কমিশন আর সমন্বয় করা হয় নি। এতে করে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে।

কমিশন বৃদ্ধিসহ পেট্রোল পাম্প মালিকদের ৭ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে— সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা, পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলে গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা, বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।