Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোতে ভারী বর্ষণের পর বন্যায় নিহত অন্তত ১৭৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জনের নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। ভারী বর্ষণের পর নদীর পানি দুই কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশের জেরে দেশটির পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

কঙ্গোর আঞ্চলিক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়েছে, একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাউথ কিভু প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রদেশটিতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সেখানকার একটি নদীর পানি উপচে পড়ায় বুশুশু ও নিয়ামুকুবি গ্রামে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

সাউথ কিভুর গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৭৬ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেন, বন্যায় অনেক লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তবে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্য কাসোল মার্টিন বলেছেন, সেখানে ২২৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে। মার্টিন বলেন, মানুষ খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে। স্কুল এবং হাসপাতাল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

দক্ষিণ কিভুতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেখানে একই মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের অক্টোবরে। সেসময় ভারি বর্ষণে সাত শতাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়। জাতিসংঘের মতে, ওই ঘটনায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হন।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও মর্মান্তিক ঘটনার রেকর্ড হয়েছে। গত মাসে উত্তর কিভু প্রদেশে ভূমিধসে অন্তত ২১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গত ডিসেম্বরে রাজধানী কিনশাসায় প্রবল বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণ হারান অন্তত ১৬৯ জন।

এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়। সূত্র: আল-জাজিরা।

আবহাওয়া

কঙ্গোতে ভারী বর্ষণের পর বন্যায় নিহত অন্তত ১৭৬

প্রকাশের সময় : ০১:৪১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জনের নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। ভারী বর্ষণের পর নদীর পানি দুই কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশের জেরে দেশটির পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

কঙ্গোর আঞ্চলিক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়েছে, একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাউথ কিভু প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রদেশটিতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সেখানকার একটি নদীর পানি উপচে পড়ায় বুশুশু ও নিয়ামুকুবি গ্রামে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

সাউথ কিভুর গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৭৬ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেন, বন্যায় অনেক লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তবে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্য কাসোল মার্টিন বলেছেন, সেখানে ২২৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে। মার্টিন বলেন, মানুষ খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে। স্কুল এবং হাসপাতাল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

দক্ষিণ কিভুতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেখানে একই মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের অক্টোবরে। সেসময় ভারি বর্ষণে সাত শতাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়। জাতিসংঘের মতে, ওই ঘটনায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হন।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও মর্মান্তিক ঘটনার রেকর্ড হয়েছে। গত মাসে উত্তর কিভু প্রদেশে ভূমিধসে অন্তত ২১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গত ডিসেম্বরে রাজধানী কিনশাসায় প্রবল বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণ হারান অন্তত ১৬৯ জন।

এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়। সূত্র: আল-জাজিরা।