Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কঙ্গনাকে চড় মারা কনস্টেবল বরখাস্ত

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • ২০২ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

বলিউড অভিনেত্রী-রাজনৈতিক কঙ্গনা রাণৌতকে থাপ্পড় মারা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নারী কনস্টেবলের নাম কুলবিন্দর কৌর।

সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কুলবিন্দর কৌরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে তার কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা। ভোটে জয়ের পর দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চন্ডীগড় এয়ারপোর্টে পৌঁছান। এ এয়ারপোর্টে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন কনস্টেবল কুলবিন্দর।

জানা যায়, চন্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় কুলবিন্দরের সঙ্গে তর্কে জড়ান কঙ্গনা। এরপর এ অভিনেত্রীকে চড় মারেন। কঙ্গনার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তিও কুলবিন্দরকে পাল্টা চড় মারেন। কিন্তু কী কারণে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন? কুলবিন্দর নিজেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতীয় কৃষকরা ১৫ মাস আন্দোলন করেন। ওই সময়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। তা জানিয়ে কুলবিন্দ বলেন, ‘সে (কঙ্গনা) বলেছিল, কৃষকরা ১০০ রুপির জন্য সেখানে বসেছিল। সে কি সেখানে যাবে, সেখানে বসবে? আমার মা সেখানে বসে প্রতিবাদ করেছিলেন।’

দিল্লি পৌঁছে এক ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা জানান, তার কাছে প্রচুর ফোন আসছে। শুভানুধ্যায়ীরা, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কেমন আছেন। তাদের সবাইকে প্রথমেই তিনি জানিয়েছেন, যে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।

এর পরে কঙ্গনা বলেন, ‘আজ চন্ডিগড় বিমানবন্দরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সিকিওরিটি চেকের সময়ে ঘটেছে। সিকিওরিটি চেক করে যেই বেরিয়েছি, তখন অন্য কেবিনে যে মহিলা ছিলেন, যিনি ওই কেবিনের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন, সেই সিআইএসএফ জওয়ান মহিলা, উনি পাশ থেকে এসে আমার মুখে মারেন। গালি দিতে শুরু করেন।’

কঙ্গনার বক্তব্য, এর পরে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, এমন কাণ্ড কেন ঘটাচ্ছেন? উত্তরে ওই জওয়ান নাকি বলেন, তিনি কৃষক আন্দোলনের সমর্থক।
এর পরে কঙ্গনা জুড়ে দেন, ‘আমি নিরাপদে আছি ঠিকই, কিন্তু আমার চিন্তা, যে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ পাঞ্জাবে বাড়ছে, সেটি আমরা কী করে নিয়ন্ত্রণ করব।’

যত দূর শোনা গেছে, কঙ্গনা বৃহস্পতিবার চন্ডিগড় বিমানবন্দরে এসেছিলেন বিমানে উঠতে। দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে এক মহিলা সিআইএসএফ জওয়ান তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তিনি নাকি তাকে চড় মারেন। এর পরে কঙ্গনার সাথে থাকা একজন পালটা চড় মারেন ওই জওয়ানকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

কঙ্গনাকে চড় মারা কনস্টেবল বরখাস্ত

প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

বলিউড অভিনেত্রী-রাজনৈতিক কঙ্গনা রাণৌতকে থাপ্পড় মারা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নারী কনস্টেবলের নাম কুলবিন্দর কৌর।

সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কুলবিন্দর কৌরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে তার কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা। ভোটে জয়ের পর দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চন্ডীগড় এয়ারপোর্টে পৌঁছান। এ এয়ারপোর্টে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন কনস্টেবল কুলবিন্দর।

জানা যায়, চন্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় কুলবিন্দরের সঙ্গে তর্কে জড়ান কঙ্গনা। এরপর এ অভিনেত্রীকে চড় মারেন। কঙ্গনার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তিও কুলবিন্দরকে পাল্টা চড় মারেন। কিন্তু কী কারণে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন? কুলবিন্দর নিজেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতীয় কৃষকরা ১৫ মাস আন্দোলন করেন। ওই সময়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। তা জানিয়ে কুলবিন্দ বলেন, ‘সে (কঙ্গনা) বলেছিল, কৃষকরা ১০০ রুপির জন্য সেখানে বসেছিল। সে কি সেখানে যাবে, সেখানে বসবে? আমার মা সেখানে বসে প্রতিবাদ করেছিলেন।’

দিল্লি পৌঁছে এক ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা জানান, তার কাছে প্রচুর ফোন আসছে। শুভানুধ্যায়ীরা, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কেমন আছেন। তাদের সবাইকে প্রথমেই তিনি জানিয়েছেন, যে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।

এর পরে কঙ্গনা বলেন, ‘আজ চন্ডিগড় বিমানবন্দরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সিকিওরিটি চেকের সময়ে ঘটেছে। সিকিওরিটি চেক করে যেই বেরিয়েছি, তখন অন্য কেবিনে যে মহিলা ছিলেন, যিনি ওই কেবিনের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন, সেই সিআইএসএফ জওয়ান মহিলা, উনি পাশ থেকে এসে আমার মুখে মারেন। গালি দিতে শুরু করেন।’

কঙ্গনার বক্তব্য, এর পরে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, এমন কাণ্ড কেন ঘটাচ্ছেন? উত্তরে ওই জওয়ান নাকি বলেন, তিনি কৃষক আন্দোলনের সমর্থক।
এর পরে কঙ্গনা জুড়ে দেন, ‘আমি নিরাপদে আছি ঠিকই, কিন্তু আমার চিন্তা, যে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ পাঞ্জাবে বাড়ছে, সেটি আমরা কী করে নিয়ন্ত্রণ করব।’

যত দূর শোনা গেছে, কঙ্গনা বৃহস্পতিবার চন্ডিগড় বিমানবন্দরে এসেছিলেন বিমানে উঠতে। দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে এক মহিলা সিআইএসএফ জওয়ান তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তিনি নাকি তাকে চড় মারেন। এর পরে কঙ্গনার সাথে থাকা একজন পালটা চড় মারেন ওই জওয়ানকে।