কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজার শহরের সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী ঝাউগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সৈকতের গলফ মাঠ সংলগ্ন ঝাউবাগানের ভেতরে মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়। তিনি উখিয়ার বালুখালীর মৃত জুনু মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (২৫)। নিহত নুরুল আমিন একটি জাতীয় দৈনিকের উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও ফ্রেন্ডশিপে চাকরি করতেন।
জানা যায়, বুধবার রাতে মারসা পরিবহনের গাড়িতে কক্সবাজার আসেন আমিন। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়রা জানান, তিনি অমায়িক ও প্রতিবাদী স্বভাবের ছিলেন এবং বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তার সঙ্গে এলাকায় বড় ধরনের কোনো শত্রুতা ছিল না।
সংবাদকর্মী শ.ম গফুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, আমিন খুবই অমায়িক ছেলে ছিলেন। গতকাল রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ কাউন্টারে তার সঙ্গে শেষ দেখা হয়। সে মারসা পরিবহনের টিকিট কেটেছিল এবং সঙ্গে তিন অচেনা যুবক ছিল। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে হতবাক হয়েছি। আমার কাছে ঘটনাটি রহস্যজনক, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি সুইসাইড হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তার পকেটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের একটি বাসের টিকেট পাওয়া গেছে, টিকিটে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রার সময় ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টা ২০ মিনিট উল্লেখ ছিল।