কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
সরকার কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে। আগামী ২ অক্টোবর থেকে এই বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে টার্মিনাল ভবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনও শেষ হয়নি, ফলে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট চালু হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, যাত্রী আগমন (অ্যারাইভাল) ও প্রস্থান (ডিপারচার) লাউঞ্জ, ডিপারচার কনভেয়ার বেল্ট এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টার নির্মাণকাজ এখনও চলছে। রানওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও, এসব কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
এছাড়া, বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রস্তুতি এবং ফ্লাইট স্লটও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, অবশিষ্ট কাজ ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়ে ফ্লাইট পরিকল্পনা জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেবিচকের সদস্য (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাব। আইকাওকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এখন এয়ারলাইন্সগুলোর সাড়ার অপেক্ষা করছি।’
সংশ্লিষ্টদের মতে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এতে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, পরিবহন, আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও করপোরেট ইভেন্ট আয়োজনসহ স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কার্যক্রম শুরু হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সরকার এই বিমানবন্দরকে শুধু পর্যটনের নয়, বরং একটি আঞ্চলিক হাব ও রি-ফুয়েলিং পয়েন্ট হিসেবেও গড়ে তুলতে চায়।