কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য বলে ভাষ্য পুলিশের। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি মোবাইল ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের ফোকাল পয়েন্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইলের এক পর্যটককে পৌরসভাস্থ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকায় ছুরিকাঘাত করে মোবাইলসহ সবকিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার গ্রেপ্তার ৫ যুবক জড়িত বলে ভাষ্য পুলিশের।
গ্রেপ্তাররা হলো, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার দক্ষিণ ডিককুলের দুদু মিয়ার ছেলে মো. ঊাবুল (২৮), পৌরসভার পিটিস্কুল চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মুহাম্মদ সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১), নতুন বাহারছরা কানাইয়া বাজার এলাকার ফজল করিমের ছেলে মো. সোহেল (২২), কলাতলীর কালাপুতুর ছেলে মো. সিদ্দিক ওরফে কানাইয়া (৪০) এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ডেইড্ডি ভুতপারার সরোয়ারের ছেলে বর্তমানে শহরের টেকপাড়া চৌমুহনীর বাসিন্দা ইমরান সরোয়ার ইমন (২৫)।
জেলা পুলিশের ফোকাল পয়েন্ট অলক বিশ্বাস জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে এসে রোববার সন্ধ্যার আগে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাইফুল (২২) নামের এক পর্যটক। তাকে ছুরিকাঘাত করে সবকিছুই ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। সাইফুল্লাহ টাঙ্গাইলের বাসাইলের নাহালি এলাকার সিদ্দিক সিকদারের ছেলে। বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশের নজরে এলে তৎক্ষণিকভাবে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম সদর থানার একাধিক স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিনতাই চক্রের পেশাদার পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এসময় ছিনতাইকারীদের কবল হতে ১০টি মোবাইল ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী পর্যটক সাইফুল জানান, গত শুক্রবার টাঙ্গাইল থেকে কক্সবাজারে আসেন তিনি। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের একটি মার্কেট থেকে জুতা কিনে হোটেলে ফিরছিলেন। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি সিএনজিতে থাকা কয়েকজন যুবক তাকে ধরে ফেলে। একজন তাকে ডেকে বাড়ি কোথায়সহ নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের একজন এসে তাকে পেছন থেকে গলা চেপে ধরে।
তিনি জানান, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার পায়েল উরুতে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার হাতে থাকা ফোন নিচে পড়ে গেলে মোবাইলসহ সবকিছু নিয়ে সঙ্গে থাকা সিএনজি করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত সাইফুলকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াছ খান বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।