Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের রামুতে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু ও দুই নারী রয়েছেন।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া লেভেল ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ভারুয়াখালীর জাফর আলমের মেয়ে আসমাউল হোসনা (২৭), তাঁর বোন রেনু আক্তার (১৩), আসমাউলের দুই শিশুসন্তান আতা উল্লাহ (১) ও আশেক উল্লাহ (৩) এবং অটোরিকশাচালক হাবিব উল্লাহ।

রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে। এতে চালক শাহাব উদ্দিন, যাত্রী মর্জিনা ও তাঁর শিশু সন্তানসহ আরও দুই অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই দুইজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ওসি তৈয়বুর রহমান আরও জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এ রেলক্রসিংয়ে অতীতেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বদি আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।

রামু রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল কাইয়ুম জানান, শনিবার দুপুর ১টার দিকে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি রামুর ধলিরছড়া এলাকার রেলক্রসিংয়ে পৌঁছলে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং পরে হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তর। এতে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য করা হয়।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে গেটম্যান থাকে না। ওই জায়গায় নির্দেশনা সাঁটানো রয়েছে নিজ দায়িত্বে পারাপার হওয়ার জন্য। তারপরও আমরা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং সুপারিশ রয়েছে কি-না জানার জন্য কমিটি করেছি।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত

প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের রামুতে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু ও দুই নারী রয়েছেন।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া লেভেল ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ভারুয়াখালীর জাফর আলমের মেয়ে আসমাউল হোসনা (২৭), তাঁর বোন রেনু আক্তার (১৩), আসমাউলের দুই শিশুসন্তান আতা উল্লাহ (১) ও আশেক উল্লাহ (৩) এবং অটোরিকশাচালক হাবিব উল্লাহ।

রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে। এতে চালক শাহাব উদ্দিন, যাত্রী মর্জিনা ও তাঁর শিশু সন্তানসহ আরও দুই অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই দুইজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ওসি তৈয়বুর রহমান আরও জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এ রেলক্রসিংয়ে অতীতেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বদি আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।

রামু রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল কাইয়ুম জানান, শনিবার দুপুর ১টার দিকে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি রামুর ধলিরছড়া এলাকার রেলক্রসিংয়ে পৌঁছলে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং পরে হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তর। এতে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য করা হয়।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে গেটম্যান থাকে না। ওই জায়গায় নির্দেশনা সাঁটানো রয়েছে নিজ দায়িত্বে পারাপার হওয়ার জন্য। তারপরও আমরা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং সুপারিশ রয়েছে কি-না জানার জন্য কমিটি করেছি।