স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসভবনে রুদ্ধধার বৈঠকে বসেছিলেন তামিম ইকবাল। বৈঠক শেষে কঠিন সিদ্ধান্তই নিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মূলত দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই তামিম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতের এই বৈঠক নিয়ে গতকাল থেকেই আলোচনা ছিল। বৈঠকে তামিম নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তার পর সংবাদ সম্মেলনে সেসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সেখানে জানান, তামিমের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা। বৈঠকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, তামিম তাঁকে বলে দিয়েছেন যে ওয়ানডেতে আর অধিনায়কত্ব করবেন না। আর জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, চোট থেকে সেরে ওঠা নিশ্চিত নয় বলে এশিয়া কাপে খেলবেন না তামিম।
নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তামিম বলছেন, দলের স্বার্থে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এখন ভালো খেলায় মনোযোগ দেবো। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনাকে পুরো ব্যাপারটা জানিয়েছি। উনি আমার ব্যাপারটা বুঝেছেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তামিমের অবর্তমানে কে ওয়ানডে অধিনায়ক হবেন এই প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তামিম শুধু এশিয়া কাপে না খেললে সহ-অধিনায়ক লিটন দাসই অধিনায়ক হতেন। এখন যেহেতু তামিম অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিয়েছেন, ব্যাপারটা আর সরল নেই। নতুন অধিনায়ক শুধু এশিয়া কাপ নয়, বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে।
অন্যদিকে, এশিয়া কাপে না খেললেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে তামিমকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। টিম ম্যানেজমেন্ট আশা করছে, তামিম বিশ্বকাপের আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন।
দীর্ঘদিন ধরে কোমরের চোটে ভুগছিলেন বাংলাদেশের এই দেশসেরা ওপেনার। যা নিয়ে সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্যে একজন মেরুদন্ড বিশেষজ্ঞেরও শরণাপন্ন হয়েছিলেন। প্রথমে তার অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও, ৩-৪ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায় ইনজেকশন নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। যদিও এখনও পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তিনি এশিয়া কাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।