Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ১মিনিটে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলীয় সভাপতি। তারপর কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

বিকেল ৪টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। ওই ভাষণে তিনি বাঙালির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী লাখো জনতার উদ্দেশে দেওয়া তার কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বজ্রকণ্ঠের এই ভাষণ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বমানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

মুক্তিকামী মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর অমর সেই ভাষণ আজও কোটি কোটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের পথ দেখায়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অমর ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশের সময় : ১২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ১মিনিটে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলীয় সভাপতি। তারপর কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

বিকেল ৪টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। ওই ভাষণে তিনি বাঙালির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী লাখো জনতার উদ্দেশে দেওয়া তার কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বজ্রকণ্ঠের এই ভাষণ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বমানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

মুক্তিকামী মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর অমর সেই ভাষণ আজও কোটি কোটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের পথ দেখায়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অমর ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।