Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয় : আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়। মূল লক্ষ্য জাতীয় সনদ তৈরি, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে সাহায্য করবে।

শনিবার (৩ মে) সকালে সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে সংলাপে বসে ১২ দলীয় জোট। এসময় আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে। নেতাকর্মীরা জাতীয় স্বার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যেমন কথা বলবেন, আবার ছাড় দেয়ারও মানসিকতা থাকতে হবে। সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব না হলেও, রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে একমত হতে পারবেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কোনো সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা।

তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। সেই চেষ্টায় আমরা আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট) সহযোগিতা পেয়েছি, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে, সকল বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুর্নগঠনে প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন, সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা।

এ সময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমরা আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছি, মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, যার ভোট সে যেন নিজে দিতে পারে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটা প্রতিষ্ঠিত সরকার গঠন করতে পারে তার জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এটাই আশা করি যে, আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি- ‘আমার ভোটের প্রতি কেউ জোর করতে পারেনি, আমার ভোট কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারেনি, আমি আমার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পেরেছি’।

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এরপর সেই মতামত ধরে সংশ্লিষ্ট দলের সঙ্গে সংলাপ করছে কমিশন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয় : আলী রীয়াজ

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়। মূল লক্ষ্য জাতীয় সনদ তৈরি, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে সাহায্য করবে।

শনিবার (৩ মে) সকালে সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে সংলাপে বসে ১২ দলীয় জোট। এসময় আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে। নেতাকর্মীরা জাতীয় স্বার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যেমন কথা বলবেন, আবার ছাড় দেয়ারও মানসিকতা থাকতে হবে। সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব না হলেও, রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে একমত হতে পারবেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কোনো সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা।

তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। সেই চেষ্টায় আমরা আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট) সহযোগিতা পেয়েছি, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে, সকল বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুর্নগঠনে প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন, সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা।

এ সময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমরা আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছি, মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, যার ভোট সে যেন নিজে দিতে পারে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটা প্রতিষ্ঠিত সরকার গঠন করতে পারে তার জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এটাই আশা করি যে, আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি- ‘আমার ভোটের প্রতি কেউ জোর করতে পারেনি, আমার ভোট কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারেনি, আমি আমার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পেরেছি’।

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এরপর সেই মতামত ধরে সংশ্লিষ্ট দলের সঙ্গে সংলাপ করছে কমিশন।