Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

শিক্ষার্থীরা এখন নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইটে ঢুকে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। এর আগে সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সামনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন ডা. দীপু মনি।

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮০.৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ৭.০৫ শতাংশ। সেবছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।

এদিকে অতীতে কখনো ছুটির দিনে (শুক্রবার) পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। এবারই প্রথম ছুটির দিনে ফল প্রকাশ হচ্ছে।

এর আগে গত বছর দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে এবার গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সেবছর পৃথকভাবে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮.১০ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪.০৭ শতাংশ ছিল।

এছাড়া সাধারণ শিক্ষা শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকায় পাসের হার ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৬.০৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯১.২৮ শতাংশ, যশোরে ৯৫.০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯.৬১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১.১৪ শতাংশ, সিলেটে ৭৮.৮২ শতাংশ।

যেভাবে জানা যাবে ফল

এসএসসি ও সমমানের ফল তিনভাবে জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী সেখান থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে educationboardresults.gov.bd প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।

এর বাইরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হয় ২৮ মে। সে হিসেবে ৩০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। সাধারণত দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা কারিগরি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ১১:০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

শিক্ষার্থীরা এখন নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইটে ঢুকে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। এর আগে সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সামনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন ডা. দীপু মনি।

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮০.৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ৭.০৫ শতাংশ। সেবছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।

এদিকে অতীতে কখনো ছুটির দিনে (শুক্রবার) পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। এবারই প্রথম ছুটির দিনে ফল প্রকাশ হচ্ছে।

এর আগে গত বছর দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে এবার গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সেবছর পৃথকভাবে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮.১০ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪.০৭ শতাংশ ছিল।

এছাড়া সাধারণ শিক্ষা শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকায় পাসের হার ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৬.০৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯১.২৮ শতাংশ, যশোরে ৯৫.০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯.৬১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১.১৪ শতাংশ, সিলেটে ৭৮.৮২ শতাংশ।

যেভাবে জানা যাবে ফল

এসএসসি ও সমমানের ফল তিনভাবে জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী সেখান থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে educationboardresults.gov.bd প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।

এর বাইরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হয় ২৮ মে। সে হিসেবে ৩০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। সাধারণত দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা কারিগরি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।