স্পোর্টস ডেস্ক :
দলের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে ধারণা হয়েছিল এবার হয়তো শূন্য হাতেই এশিয়া কাপ থেকে ফিরতে হবে বাংলাদেশ দলকে। একমাত্র আফগানিস্তানছাড়া আর কারো বিপক্ষেই জয়ের দেখা পাচ্ছিলো না। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’বার এবং পাকিস্তানের কাছে একবার হারতে হলো টাইগারদের। সব মিলিয়ে যখন হতাশার এক টুর্নামেন্ট শেষ করতে যাচ্ছিলো। তবে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিপক্ষে টিম টাইগার্স দারুণ এক জয় পেয়েছে। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে চোট জর্জরিত দলের মাঝে। সান্ত্বনার সেই জয়ের আনন্দ নিয়ে দেশে ফিরেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়েই শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বন) সকালে দেশে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নেমেছে ভারতজয়ী টাইগাররা।
এয়িশা কাপ খেলতে গত ২৬ আগস্ট শ্রীলঙ্কা যায় বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ৩১ আগস্ট প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের লাহোরে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে পরাজিত করে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে এবং কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার কাছে ২১ রানে হেরে যায় সাকিব আল হাসানের দল। সে সঙ্গে ফাইনালের আগে ছিটকে পড়া নিশ্চিত হয় তাদের। শেষ ম্যাচে এসে ভারতকে হারালো ৬ রানের ব্যবধানে।
ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেও দলের সঙ্গে ফিরেননি প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সহ কোচিং ম্যানেজমেন্টের বাকি সদস্যরা। হাথুরুসিংহে রয়ে গেছেন নিজে দেশ শ্রীলঙ্কায়। বাকিরাও নিজ নিজ দেশে। ছুটি কাটিয়ে নিউ জিল্যান্ড সিরিজের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা।
বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে এই জয় বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করেছে বললেন সাকিব, আমি মনে করি আমরা একটি খুব ভালো দল পেয়েছি (বিশ্বকাপের জন্য)। অনেক ইনজুরি ছিল। খেলোয়াড়দের আসা এবং যাওয়ার কারণে এই এশিয়া কাপে ভালো কিছু হলো না। আমি মনে করি আমরা বিশ্বকাপে বিপজ্জনক দল হতে যাচ্ছি।
এশিয়া কাপ থেকে ফিরে অবশ্য বিশ্রামের খুব বেশি সুযোগ নেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে রোববার ঢাকায় পা রাখবে কিউইরা। তাদের বিপক্ষে ২১, ২৩ ও ২৬ সেপ্টম্বর মিরপুরে হবে ম্যাচগুলো। যদিও এই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার কথা রয়েছে। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুশফিকুর রহিমের মতো ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়াও জরুরি। সামনেই লম্বা সময়ের জন্য মাঠের ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। ২৭ সেপ্টম্বর বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেবেন সাকিবরা।