Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলজিইডির নতুন প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. আলি আখতার হোসেন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব এস এম নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগে গত ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত চলতি দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত কমিটি সভার সুপারিশক্রমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২) মো. আলি আখতার হোসেনকে প্রধান প্রকৌশলীর শূন্য পদে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হলো।

এর আগে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনকে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে অবসর দেওয়া হয়। মো. আলি আখতার হোসেন এলজিইডিতে একজন সজ্জন ও ভালো মানুষ হিসেবে সমধিক পরিচিত। একজন দক্ষ প্রকৌশলী হিসাবেও তিনি সুনামের সাথে এলজিইডিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে চাকরি করে আসছেন।

মো. আলি আখতার হোসেন ১৯৮৯ সালে ১ জুন তৎকালীন এলজিইবিতে যোগদিয়ে ৩ জুন ১৯৮৯ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩৪ বছরেরও অধিককালের কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন।

প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি সফলভাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি) বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি এলজিইডির বহু প্রকল্প প্রস্তুতকরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চৌকস কর্মঠ, দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি কেয়ার বাংলাদেশ-এর গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি থেকে সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি)-এর জন্য পরপর তিনবছর (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড অর্জন করেন। এর আগে লিয়েনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারাদেশ ব্যাপী (বিশ^ব্যাংক সহায়তায়) পিএমটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেন।

তিনি বর্তমানে এলজিইডির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কুয়েট এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ^বিদ্যালয় এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর আজীবন ফেলো। আখতার ২০১৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি সদর দপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

এলজিইডির নতুন প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. আলি আখতার হোসেন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব এস এম নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগে গত ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত চলতি দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত কমিটি সভার সুপারিশক্রমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২) মো. আলি আখতার হোসেনকে প্রধান প্রকৌশলীর শূন্য পদে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হলো।

এর আগে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনকে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে অবসর দেওয়া হয়। মো. আলি আখতার হোসেন এলজিইডিতে একজন সজ্জন ও ভালো মানুষ হিসেবে সমধিক পরিচিত। একজন দক্ষ প্রকৌশলী হিসাবেও তিনি সুনামের সাথে এলজিইডিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে চাকরি করে আসছেন।

মো. আলি আখতার হোসেন ১৯৮৯ সালে ১ জুন তৎকালীন এলজিইবিতে যোগদিয়ে ৩ জুন ১৯৮৯ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩৪ বছরেরও অধিককালের কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন।

প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি সফলভাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি) বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি এলজিইডির বহু প্রকল্প প্রস্তুতকরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চৌকস কর্মঠ, দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি কেয়ার বাংলাদেশ-এর গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি থেকে সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি)-এর জন্য পরপর তিনবছর (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড অর্জন করেন। এর আগে লিয়েনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারাদেশ ব্যাপী (বিশ^ব্যাংক সহায়তায়) পিএমটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেন।

তিনি বর্তমানে এলজিইডির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কুয়েট এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ^বিদ্যালয় এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর আজীবন ফেলো। আখতার ২০১৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি সদর দপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান।