ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে বাতিল হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ্ গুল নিঝুম হারুনসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। হারুন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন।
সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রথমবারের মতো তিনি আজ ঝালকাঠিতে উপস্থিত হন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে দেখা গেছে।
এতে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অপর প্রার্থীদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ বা স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মনিরুজ্জামান মনির। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। আওয়ামী লীগের সমর্থক ও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ইসমাইল হোসেনের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বাকিরা হলেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, আবুল কাশেম মো. ফকরুল ইসলাম।
হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে ফারাহ্ গুল বলেন, দলীয়ভাবে চিঠি দিয়ে শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র চূড়ান্তভাবে গ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ কারণে দলটির অপর প্রার্থী হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন আলোচিত প্রার্থী শাহজাহান ওমর। তিনি কিছুক্ষণ অবস্থান করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় শেষে চলে যান।
শাহজাহান ওমর বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান। বহিষ্কারের আগে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ফারাহ্ গুল নিঝুম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে স্বাক্ষর করা ১০ জন ভোটারের মুঠোফোনে কল দিয়ে স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চান। তখন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া এক নারী জানান তিনি স্বাক্ষর দেননি।
এরপর মনিরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একইভাবে অপর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বাক্ষর করা এক শতাংশ ভোটারদের মধ্যে ১০ জনের কাছে মুঠোফোনে স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তারাও স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।