Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ভারতকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২০৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। জুনিয়রদের সামনে সুযোগ ছিল সিনিয়রদের সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। তবে তা করতে পারলেন না আর্শিন কুলকার্নি-উদয় সাহরানরা। আরও একবার ভারতকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো অজিরা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেনোনিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছেন হারজাস সিং। জবাবে খেলতে নেমে ৪৩ ওভার ৫ বলে ১৭৩ রানে থেমেছে ভারত। ৭৯ রানের জয়ে চতুর্থবার যুব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল অজিরা।

এর আগে, ২০১০ সালে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১২ ও ২০১৮ আসরে ফাইনাল খেলেও ট্রফিতে চুমু আঁকতে পারেননি তারা। দুইবারই হেরেছিল ভারতের বিপক্ষে। এশিয়ার দলটিকে হারিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল তাসমান সাগর পাড়ের দলটি।

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৫৪ রান। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩ রানেই ভেঙে যায় ভারতের উদ্বোধনী জুটি। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার পেসার কালাম ভিডলারকে খোঁচা দিতে যান ভারতীয় ওপেনার আর্শিন কুলকার্নি। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন অজি উইকেটরক্ষক রায়ান হিকস। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশির খান। আরেক ওপেনার আদর্শ সিংকে নিয়ে সাবধানে এগোতে থাকেন মুশির। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন আদর্শ ও মুশির। ১৩ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুশিরকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মাহলি বিয়ার্ডম্যান। তাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ৪০ রান।

দুই উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন ভারতীয় অধিনায়ক উদয় সাহারান। সেমিফাইনালে ভারতকে বাঁচানো অধিনায়ক আজ উইকেটে এসে বেশ সংগ্রাম করেছেন। ১৮ বলে করেন ৬ রান। ১৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে সাহারানকে ফেরান বিয়ার্ডম্যান। এরপর উইকেটে আসেন সেমিফাইনালের আরেক নায়ক শচীন দাস। এবার তিনি ৮ বলে ১ চারে ৯ রান করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ২০ তম ওভারের প্রথম বলে শচীনকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন রাফ ম্যাকমিলান।

সাহারান, শচীনের দুই উইকেট দ্রুত হারালে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৮ রান। এরপর ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন প্রিয়াংশু মুলিয়া। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুলিয়ার সঙ্গে ৩৪ বলে ২২ রানের জুটি গড়েন আদর্শ। মুলিয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন চার্লি অ্যান্ডারসন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেও ভারতীয় উইকেটরক্ষক আরাবেল্লি অবনীশ ২ বল খেলে ডাক মেরেছেন। ২৬ তম ওভারের তৃতীয় বলে অবনীশকে কট এন্ড বোল্ড করেন ম্যাকমিলান। সতীর্থদের আসা-যাওয়া অসহায়ের মতো দেখতে থাকা আদর্শও এরপর দ্রুত আউট হয়েছেন। ৩১ তম ওভারের তৃতীয় বলে আদর্শকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন বিয়ার্ডম্যান। ৭৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন আদর্শ।

আদর্শ ফেরার ঠিক পরের ওভারেই রাজ লিম্বানিকে ইয়র্কারের ফাদে ফেলে বোল্ড করেছেন ম্যাকমিলান। হঠাৎ ধস নামা ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩১.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১২২ রান।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে উইকেট হারালেও এরপর সতর্ক হয়েই খেলে অসিরা। ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান ওপেনার স্যাম কন্টাস।

দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর আউট হয়ে গেলে অধিনায়ক হাগ ওয়েবগেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার হ্যারি ডিক্সন।

২১তম ওভারে নামান তিওয়ারির আউটসাইডে দেওয়া লোভনীয় বলে ড্রাইভ করতে যান ওযেবগেন। ব্যাটের কানায় বল স্পর্শ করে পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দারুণ সুযোগ পেয়ে তা লুপে নিতে ভুল করেননি ফিল্ডার মুশের খান। ফলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত জুটি ভেঙে যায়। হাফসেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হলো অসি অধিনায়ককে। ৬৬ বলে ৪৮ রান করেন ওয়েবগেন।

৫৬ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান ডিক্সনও। এরপর হার্জাস সিংয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রানের দারুণ জুটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রায়ান হিক্স। হার্জাস হাঁকান দুর্দান্ত ফিফটি। ৩ চার ৩ ছক্কার মারে ৬৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৫ বলে ২০ রান করেন হিক্স।

শেষ দিকে ওলিভার পিকে খেলেন আরও একটি দুর্দান্ত ইনিংস। ৪৩ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

ভারতের হয়ে ৩৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাজ লিমবানি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মাহলি বেয়ার্ডম্যান ও রাফ ম্যাকমিলান। ২ উইকেট তুলে নেন কালাম ভিডলার।

আবহাওয়া

খুরশীদ আলমকে হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অপসারণ

এবার ভারতকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ১০:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। জুনিয়রদের সামনে সুযোগ ছিল সিনিয়রদের সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। তবে তা করতে পারলেন না আর্শিন কুলকার্নি-উদয় সাহরানরা। আরও একবার ভারতকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো অজিরা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেনোনিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছেন হারজাস সিং। জবাবে খেলতে নেমে ৪৩ ওভার ৫ বলে ১৭৩ রানে থেমেছে ভারত। ৭৯ রানের জয়ে চতুর্থবার যুব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল অজিরা।

এর আগে, ২০১০ সালে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১২ ও ২০১৮ আসরে ফাইনাল খেলেও ট্রফিতে চুমু আঁকতে পারেননি তারা। দুইবারই হেরেছিল ভারতের বিপক্ষে। এশিয়ার দলটিকে হারিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল তাসমান সাগর পাড়ের দলটি।

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৫৪ রান। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩ রানেই ভেঙে যায় ভারতের উদ্বোধনী জুটি। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার পেসার কালাম ভিডলারকে খোঁচা দিতে যান ভারতীয় ওপেনার আর্শিন কুলকার্নি। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন অজি উইকেটরক্ষক রায়ান হিকস। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশির খান। আরেক ওপেনার আদর্শ সিংকে নিয়ে সাবধানে এগোতে থাকেন মুশির। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন আদর্শ ও মুশির। ১৩ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুশিরকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মাহলি বিয়ার্ডম্যান। তাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ৪০ রান।

দুই উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন ভারতীয় অধিনায়ক উদয় সাহারান। সেমিফাইনালে ভারতকে বাঁচানো অধিনায়ক আজ উইকেটে এসে বেশ সংগ্রাম করেছেন। ১৮ বলে করেন ৬ রান। ১৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে সাহারানকে ফেরান বিয়ার্ডম্যান। এরপর উইকেটে আসেন সেমিফাইনালের আরেক নায়ক শচীন দাস। এবার তিনি ৮ বলে ১ চারে ৯ রান করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ২০ তম ওভারের প্রথম বলে শচীনকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন রাফ ম্যাকমিলান।

সাহারান, শচীনের দুই উইকেট দ্রুত হারালে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৮ রান। এরপর ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন প্রিয়াংশু মুলিয়া। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুলিয়ার সঙ্গে ৩৪ বলে ২২ রানের জুটি গড়েন আদর্শ। মুলিয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন চার্লি অ্যান্ডারসন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেও ভারতীয় উইকেটরক্ষক আরাবেল্লি অবনীশ ২ বল খেলে ডাক মেরেছেন। ২৬ তম ওভারের তৃতীয় বলে অবনীশকে কট এন্ড বোল্ড করেন ম্যাকমিলান। সতীর্থদের আসা-যাওয়া অসহায়ের মতো দেখতে থাকা আদর্শও এরপর দ্রুত আউট হয়েছেন। ৩১ তম ওভারের তৃতীয় বলে আদর্শকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন বিয়ার্ডম্যান। ৭৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন আদর্শ।

আদর্শ ফেরার ঠিক পরের ওভারেই রাজ লিম্বানিকে ইয়র্কারের ফাদে ফেলে বোল্ড করেছেন ম্যাকমিলান। হঠাৎ ধস নামা ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩১.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১২২ রান।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে উইকেট হারালেও এরপর সতর্ক হয়েই খেলে অসিরা। ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান ওপেনার স্যাম কন্টাস।

দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর আউট হয়ে গেলে অধিনায়ক হাগ ওয়েবগেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার হ্যারি ডিক্সন।

২১তম ওভারে নামান তিওয়ারির আউটসাইডে দেওয়া লোভনীয় বলে ড্রাইভ করতে যান ওযেবগেন। ব্যাটের কানায় বল স্পর্শ করে পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দারুণ সুযোগ পেয়ে তা লুপে নিতে ভুল করেননি ফিল্ডার মুশের খান। ফলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত জুটি ভেঙে যায়। হাফসেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হলো অসি অধিনায়ককে। ৬৬ বলে ৪৮ রান করেন ওয়েবগেন।

৫৬ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান ডিক্সনও। এরপর হার্জাস সিংয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রানের দারুণ জুটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রায়ান হিক্স। হার্জাস হাঁকান দুর্দান্ত ফিফটি। ৩ চার ৩ ছক্কার মারে ৬৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৫ বলে ২০ রান করেন হিক্স।

শেষ দিকে ওলিভার পিকে খেলেন আরও একটি দুর্দান্ত ইনিংস। ৪৩ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

ভারতের হয়ে ৩৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাজ লিমবানি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মাহলি বেয়ার্ডম্যান ও রাফ ম্যাকমিলান। ২ উইকেট তুলে নেন কালাম ভিডলার।