আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
একটি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। লাহোরের একটি আদালত ২৩ মে পর্যন্ত তাকে জামিন দেন।
সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খানের দলের শেয়ার করা ছবি-ভিডিওতে বুশরা বিবিকে বহনকারী গাড়ির চারপাশে খানের কঠোর নিরাপত্তা দেখা গেছে। বুশরা বোরকা পরেন। তিনি গাড়ি থেকে নামার সময় তাকে ঢেকে রাখার জন্য একটি বড় সাদা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে।
মামলায় জামিনের আগে ইমরান খানের আইনজীবী খাজা হারিসের মাধ্যমে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন বুশরা। সোমবার (১৫ মে) সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি শাহবাজ আলী রিজভি এবং বিচারপতি শাকিল আহমেদের একটি বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
হাইকোর্টের এজলাসে যখন এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়, তখনও সেখানে এসে পৌঁছাননি বুশরা বিবি। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।
এক পর্যায়ে বিচারপতি রিজভি ইমরান-বুশরার আইনজীবী খাজা হারিসকে প্রশ্ন করেন, পিটিশনার (বুশরা বিবি) কোথায়?’ এর জবাবে খাজা হারিস বলেন, আমি খুবই দুঃখিত, কিছুক্ষণের মধ্যেই পিটিশনার এসে উপস্থিত হবেন।
খাজা হারিসের এই উত্তরে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি রিজভি বলেন, আদালতকে অপেক্ষায় রাখা কোনোভাবেই উচিত নয়। পিটিশনারকে বলে দেবেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আর সহ্য করা হবে না। আমরা আপনাকে ২ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। যদি এর মধ্যে পিটিশনার না আসেন, তাহলে ঠিক ২ টা ১৬ মিনিটে এ আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে।
তবে ২ টা ১৫ মিনিটের আগেই হাজির হন বুশরা বিবি। ইমরান খানও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। তারা এজলাসে উপস্থিত হওয়ার পর কঠোর নিরাপত্তায় শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে বুশরা বিবিকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেন আদালত।
বুশরার আইনজীবী ইন্তিজার হোসেন পাঞ্জুথা জানান, আমরা আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় বুশরা বিবির জন্য প্রতিরক্ষামূলক জামিনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম এবং লাহোর হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ২৩ মে পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ইমরান খানকে একই মামলায় গত সপ্তাহে দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা গ্রেপ্তার করেছিল, যা দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভের প্ররোচনা দেয়। পরে তিনি মুক্তি পান এবং ইসলামাবাদের একটি আদালত থেকে দুই সপ্তাহের জন্য জামিন পান। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে এই মামলায় খানের সাথে সহ-অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মামলাটি আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত, তারা দুজন যার ট্রাস্টি।
মামলার প্রধান আসামি ইমরান খান ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন। গত ১২ মে এ মামলায় ইমরান খানকে দু’সপ্তাহের জামিন দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সূত্র : রয়টার্স।