Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ওমর সানীর বাসায় ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২১৫ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই চিত্রনায়ক ওমর সানির। সম্প্রতিই নায়কের বাসায় চুরি হয়। এ ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় ঘটল আরেক বিপদ! এবার নায়কের বাসায় ঘটল এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা।

গেল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বাসায় ঢুকে ডাকাতির বিষয়টি টের পান বলে গণমাধ্যমে জানান ওমর সানি।

নায়ক জানান, রোববার মধ্যরাতে কাজ শেষে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের বাসায় ফিরছিলেন ওমর সানি। তখন বাসায় তার স্ত্রী মৌসুমী, ছেলে ফারদিন ও মেয়ে ফাইজা- কেউই ছিলেন না। প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।

তিনি বললেন, আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে গত বছরের আগস্টে এ চিত্রনায়ক জানান, তার ছেলে ফারদিন বিট কয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন করে দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি তখন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করে সংবাদমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চেয়েছিলেন ওমর সানী।

এ ঘটনার ব্যাপারে তখন মৌসুমী ও ওমর সানী দম্পতির ছেলে ফারদিন জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচেয়র চার মাস পর তাকে ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে পুঁজি হিসেবে টাকা ধার নেন সেই ব্যক্তি। এভাবে কয়েক ধাপে মোট ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন সেই নিশাত।

এ টাকাগুলো বিট কয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাকে দিয়েছেন। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিশাত নামের ওই ব্যক্তির কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। এমনকি তার ব্যবসা করার জন্য কোনো ধরনের বৈধ ট্রেড লাইসেন্সও নেই। তারপর নিশাতের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

এবার ওমর সানীর বাসায় ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি

প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই চিত্রনায়ক ওমর সানির। সম্প্রতিই নায়কের বাসায় চুরি হয়। এ ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় ঘটল আরেক বিপদ! এবার নায়কের বাসায় ঘটল এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা।

গেল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বাসায় ঢুকে ডাকাতির বিষয়টি টের পান বলে গণমাধ্যমে জানান ওমর সানি।

নায়ক জানান, রোববার মধ্যরাতে কাজ শেষে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের বাসায় ফিরছিলেন ওমর সানি। তখন বাসায় তার স্ত্রী মৌসুমী, ছেলে ফারদিন ও মেয়ে ফাইজা- কেউই ছিলেন না। প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।

তিনি বললেন, আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে গত বছরের আগস্টে এ চিত্রনায়ক জানান, তার ছেলে ফারদিন বিট কয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন করে দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি তখন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করে সংবাদমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চেয়েছিলেন ওমর সানী।

এ ঘটনার ব্যাপারে তখন মৌসুমী ও ওমর সানী দম্পতির ছেলে ফারদিন জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচেয়র চার মাস পর তাকে ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে পুঁজি হিসেবে টাকা ধার নেন সেই ব্যক্তি। এভাবে কয়েক ধাপে মোট ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন সেই নিশাত।

এ টাকাগুলো বিট কয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাকে দিয়েছেন। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিশাত নামের ওই ব্যক্তির কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। এমনকি তার ব্যবসা করার জন্য কোনো ধরনের বৈধ ট্রেড লাইসেন্সও নেই। তারপর নিশাতের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।