Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার আর সরকার মাঠ খালি করতে পারবে না: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মাঠ খালি করার আগের খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। তবে এবার আর সরকার মাঠ খালি করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালে মাঠ খালি করে যেভাবে ফলাফল নিজেদের করে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ঠিক একইভাবে এবারও বিরোধীদলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। আগেরবার অপেক্ষাকৃত দেরি করে হলেও এবার অনেক আগে থেকে তা শুরু করেছে। মামলা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বিরোধী মতকে মাঠ থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছে। এমন কি মিথ্যা মামলায় চূড়ান্তভাবে রায় দেয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে রায় দেয়ার চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। খালি মাঠে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। এবার আর ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। ২০১৮ সালে সরকারকে বিশ্বাস করে কি হয়েছে জনগণ তা দেখেছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে তা নয়, তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দিয়েছিল, সেগুলোার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটা তালিকা প্রস্তুত করে সেই অনুযায়ী বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে– বিচার বিভাগ ও প্রশাসন। কীভাবে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের এবং যারা চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কি করে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। কীভাবে তারা নিরঙ্কুশভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে, সুবিধা নিতে পারে সেই কাজ শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আগামী নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন নিয়ে সরকার আবারও আগের খেলায় মেতে উঠেছে। গতবার তারা হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার করে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভোট করেছিল। এবারও একইভাবে এখন থেকে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণভাবে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রসেস, সেটা তারা শুরু করে দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার সময় থেকে শুরু করেছিল, এবার তারা সেটা অনেক আগে থেকে শুরু করেছে। মামলা-মোকাদ্দমা, সন্ত্রাস, বিভিন্ন আইনের মধ্য দিয়ে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করে আবারও বিরোধী দলের নেতাদের মাঠ থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার কাজটি তারা শুরু করে দিয়েছে।

তবে এবার ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো সরকার সুবিধা নিতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, কারণ জনগণ ইতোমধ্যে রাস্তায় নেমে গেছে। আন্দোলন শুরু হয়েছে, আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।

ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টি মামলায় ৭৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সরকারের কোন ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করা যাবে না। সময় থাকতে দাবি মেনে নিতে হবে, অন্যথায় রাজপথেই ফয়সালা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কারও কাছে নালিশ করি না। রুটিন ওয়ার্কের অংশ হিসাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এখানে যেসব দেশের মিশন আছে, কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে রুটিন আলোচনা হয়। জাতিসংঘের সঙ্গেও সেই আলোচনা হয়েছে।

আলোচনা বা সংলাপের কথা বলে ক্ষমতাসীনরা আবারও নতুন করে চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা বলছে সরকারদলীয় ব্যক্তিরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথা কেউই বিশ্বাস করে না।

দিনে দিনে বিএনপির আন্দোলন বেগবান হবে বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, ‘মামলা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বিরোধী মতকে মাঠ থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছে। এমনকি মিথ্যা মামলায় চূড়ান্তভাবে রায় দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে রায় দেওয়ার চত্রান্ত করছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের, যারা দায়িত্ব পালন করছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আন্দোলন একটা ওয়েবের মতো। এটার গতি কখনও উঠে, আবার কখনও নামে। জনগণের পরিপ্রেক্ষিত বুঝে নিয়েই আন্দোলনটা করতে হয়। যেমন রোজার মাস, সেই সময়ে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ রোজা রাখে। সেই সময়ও আমরা প্রোগ্রাম দিয়েছি। এমনকি রোজায় ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ হয়েছে। এখন আমাদের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছি। খুব শিগগিরই নতুন কর্মসূচি জানতে পারবেন।

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, পুনরায় নতুন করে খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফর জামান বাবর, কাজী সলিমুল হক কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সাজা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে বিগত দিনের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা নতুন করে শুরু করেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

এবার আর সরকার মাঠ খালি করতে পারবে না: ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মাঠ খালি করার আগের খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। তবে এবার আর সরকার মাঠ খালি করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালে মাঠ খালি করে যেভাবে ফলাফল নিজেদের করে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ঠিক একইভাবে এবারও বিরোধীদলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। আগেরবার অপেক্ষাকৃত দেরি করে হলেও এবার অনেক আগে থেকে তা শুরু করেছে। মামলা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বিরোধী মতকে মাঠ থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছে। এমন কি মিথ্যা মামলায় চূড়ান্তভাবে রায় দেয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে রায় দেয়ার চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। খালি মাঠে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। এবার আর ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। ২০১৮ সালে সরকারকে বিশ্বাস করে কি হয়েছে জনগণ তা দেখেছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে তা নয়, তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দিয়েছিল, সেগুলোার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটা তালিকা প্রস্তুত করে সেই অনুযায়ী বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে– বিচার বিভাগ ও প্রশাসন। কীভাবে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের এবং যারা চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কি করে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। কীভাবে তারা নিরঙ্কুশভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে, সুবিধা নিতে পারে সেই কাজ শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আগামী নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন নিয়ে সরকার আবারও আগের খেলায় মেতে উঠেছে। গতবার তারা হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার করে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভোট করেছিল। এবারও একইভাবে এখন থেকে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণভাবে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রসেস, সেটা তারা শুরু করে দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার সময় থেকে শুরু করেছিল, এবার তারা সেটা অনেক আগে থেকে শুরু করেছে। মামলা-মোকাদ্দমা, সন্ত্রাস, বিভিন্ন আইনের মধ্য দিয়ে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করে আবারও বিরোধী দলের নেতাদের মাঠ থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার কাজটি তারা শুরু করে দিয়েছে।

তবে এবার ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো সরকার সুবিধা নিতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, কারণ জনগণ ইতোমধ্যে রাস্তায় নেমে গেছে। আন্দোলন শুরু হয়েছে, আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।

ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টি মামলায় ৭৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সরকারের কোন ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করা যাবে না। সময় থাকতে দাবি মেনে নিতে হবে, অন্যথায় রাজপথেই ফয়সালা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কারও কাছে নালিশ করি না। রুটিন ওয়ার্কের অংশ হিসাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এখানে যেসব দেশের মিশন আছে, কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে রুটিন আলোচনা হয়। জাতিসংঘের সঙ্গেও সেই আলোচনা হয়েছে।

আলোচনা বা সংলাপের কথা বলে ক্ষমতাসীনরা আবারও নতুন করে চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা বলছে সরকারদলীয় ব্যক্তিরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথা কেউই বিশ্বাস করে না।

দিনে দিনে বিএনপির আন্দোলন বেগবান হবে বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, ‘মামলা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বিরোধী মতকে মাঠ থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছে। এমনকি মিথ্যা মামলায় চূড়ান্তভাবে রায় দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে রায় দেওয়ার চত্রান্ত করছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের, যারা দায়িত্ব পালন করছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আন্দোলন একটা ওয়েবের মতো। এটার গতি কখনও উঠে, আবার কখনও নামে। জনগণের পরিপ্রেক্ষিত বুঝে নিয়েই আন্দোলনটা করতে হয়। যেমন রোজার মাস, সেই সময়ে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ রোজা রাখে। সেই সময়ও আমরা প্রোগ্রাম দিয়েছি। এমনকি রোজায় ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ হয়েছে। এখন আমাদের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছি। খুব শিগগিরই নতুন কর্মসূচি জানতে পারবেন।

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, পুনরায় নতুন করে খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফর জামান বাবর, কাজী সলিমুল হক কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সাজা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে বিগত দিনের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা নতুন করে শুরু করেছে।