Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবারও শক্ত ও কার্যকরী বিরোধী দল হবে জাতীয় পার্টি : চুন্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদে জাতীয় পার্টি (জাপা) শক্ত ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, গতবারের মতো এবারও সংসদে শক্ত ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনীত সদস্যদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

মজিবুল হক চুন্নু বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টি দুটি আসন পায়। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুইজন আমার দলের পরিক্ষিত নিবেদিত কর্মী। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে এবার দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

জাতীয় পার্টির ১৩ জন মিলে সংসদে কোন উপকার করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি যদি সংখ্যার দিকটা দেখেন গত পার্লামেন্টে অপজিশনে অনেকেই ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন তারা সংসদ বর্জন করেছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর বর্জন করেছে। অপজিশন লিডার ৫ বছরে মাত্র ১০ দিন পার্লামেন্ট এসেছিলেন। তাই ওইরকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কি। ১৩ জন যদি আমরা অ্যাক্টিভ থাকি, জনগণের পক্ষে কথা বলি, সোচ্চারভাবে সাহসের সঙ্গে জনগণের মনের কথা বলতে পারি তবে সংখ্যাটা বড় নয়। কম সংখ্যা দিয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা যায়। কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায়।

জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, নিশ্চয় আপনারা ইতিহাস জানেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তিনি যখন সংসদ নেতা ছিলেন তখন একজন সংসদ সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। আমার মনে হয় আমরা বর্তমানে পার্লামেন্ট যারা আছি, তাদের ১১ জনের মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকিরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মত ক্যাপাসিটি আছে।

গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এগিয়ে না নিয়ে জাতীয় পার্টি তা নষ্ট করেছে- এমন মন্তব্যে চুন্নু বলেন, আপনি যেটা বলছেন এটা বিএনপির কথা। যারা নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু আপনি কি মনে করেন আমরা নির্বাচনে না আসলে যদি দেশে নির্বাচন না হতো তাহলে কি হতো। বিষয়টি একটু চিন্তা করলে উত্তর পেয়ে যেতেন। কারণ জাতীয় পার্টির ইতিহাস নির্বাচন বর্জন নয়। কারণ নির্বাচন ছাড়া পার্লামেন্ট রাজনীতিতে ক্ষমতা অদল বদলের আর কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন না হলে এখানে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েম হওয়ার সুযোগ ছিল। আমি মনে করি আমরা দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সঠিক কাজ করেছি।

৭ তারিখের নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছেন, নাকি সরকারকে বাঁচিয়েছেন, নাকি নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আপনি যেভাবে নেন। আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো কোন কাউন্সিল এখনও ডাকিনাই। বাইরে কে কাউন্সিল ডাকলো না ডাকলো ওর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। বাইরে দশটা কাউন্সিল হতে পারে, দশটা কমিটি হইতে পারে, এতে আমাদের কিছু আসে যায় না।’

চুন্নু বলেন, ‘জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আমরা যারা জাতীয় পার্টিতে আছি এখনও পর্যন্ত কোন কাউন্সিল ডাকিনাই। অন্য যারা ডাকছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নামে চারটা পাঁচটা দল আছে। জাতীয় পার্টি মঞ্জু গ্রুপ। জাতীয় পার্টি কাঁঠাল, সাইকেল, মাই মার্কা গ্রুপ। এরকম অনেকগুলো গ্রুপ আছে। তাই আরেকটা হতেই পারে। সবারই স্বাধীনতা আছে। কেউ যদি জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে আরেকটা দল করতে চান, করতেই পারেন। তাতে আমরা বাধা দিতে পারি না। কিন্তু জাতীয় পার্টির যারা জি এম কাদেরের নেতেৃত্বে, যার রেজিস্ট্রেশন ১২, সেটা ঠিক আছে। এর সঙ্গে ওইগুলোর কোন সম্পর্ক নাই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

এবারও শক্ত ও কার্যকরী বিরোধী দল হবে জাতীয় পার্টি : চুন্নু

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদে জাতীয় পার্টি (জাপা) শক্ত ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, গতবারের মতো এবারও সংসদে শক্ত ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনীত সদস্যদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

মজিবুল হক চুন্নু বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টি দুটি আসন পায়। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুইজন আমার দলের পরিক্ষিত নিবেদিত কর্মী। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে এবার দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

জাতীয় পার্টির ১৩ জন মিলে সংসদে কোন উপকার করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি যদি সংখ্যার দিকটা দেখেন গত পার্লামেন্টে অপজিশনে অনেকেই ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন তারা সংসদ বর্জন করেছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর বর্জন করেছে। অপজিশন লিডার ৫ বছরে মাত্র ১০ দিন পার্লামেন্ট এসেছিলেন। তাই ওইরকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কি। ১৩ জন যদি আমরা অ্যাক্টিভ থাকি, জনগণের পক্ষে কথা বলি, সোচ্চারভাবে সাহসের সঙ্গে জনগণের মনের কথা বলতে পারি তবে সংখ্যাটা বড় নয়। কম সংখ্যা দিয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা যায়। কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায়।

জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, নিশ্চয় আপনারা ইতিহাস জানেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তিনি যখন সংসদ নেতা ছিলেন তখন একজন সংসদ সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। আমার মনে হয় আমরা বর্তমানে পার্লামেন্ট যারা আছি, তাদের ১১ জনের মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকিরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মত ক্যাপাসিটি আছে।

গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এগিয়ে না নিয়ে জাতীয় পার্টি তা নষ্ট করেছে- এমন মন্তব্যে চুন্নু বলেন, আপনি যেটা বলছেন এটা বিএনপির কথা। যারা নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু আপনি কি মনে করেন আমরা নির্বাচনে না আসলে যদি দেশে নির্বাচন না হতো তাহলে কি হতো। বিষয়টি একটু চিন্তা করলে উত্তর পেয়ে যেতেন। কারণ জাতীয় পার্টির ইতিহাস নির্বাচন বর্জন নয়। কারণ নির্বাচন ছাড়া পার্লামেন্ট রাজনীতিতে ক্ষমতা অদল বদলের আর কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন না হলে এখানে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েম হওয়ার সুযোগ ছিল। আমি মনে করি আমরা দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সঠিক কাজ করেছি।

৭ তারিখের নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছেন, নাকি সরকারকে বাঁচিয়েছেন, নাকি নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আপনি যেভাবে নেন। আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো কোন কাউন্সিল এখনও ডাকিনাই। বাইরে কে কাউন্সিল ডাকলো না ডাকলো ওর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। বাইরে দশটা কাউন্সিল হতে পারে, দশটা কমিটি হইতে পারে, এতে আমাদের কিছু আসে যায় না।’

চুন্নু বলেন, ‘জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আমরা যারা জাতীয় পার্টিতে আছি এখনও পর্যন্ত কোন কাউন্সিল ডাকিনাই। অন্য যারা ডাকছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নামে চারটা পাঁচটা দল আছে। জাতীয় পার্টি মঞ্জু গ্রুপ। জাতীয় পার্টি কাঁঠাল, সাইকেল, মাই মার্কা গ্রুপ। এরকম অনেকগুলো গ্রুপ আছে। তাই আরেকটা হতেই পারে। সবারই স্বাধীনতা আছে। কেউ যদি জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে আরেকটা দল করতে চান, করতেই পারেন। তাতে আমরা বাধা দিতে পারি না। কিন্তু জাতীয় পার্টির যারা জি এম কাদেরের নেতেৃত্বে, যার রেজিস্ট্রেশন ১২, সেটা ঠিক আছে। এর সঙ্গে ওইগুলোর কোন সম্পর্ক নাই।