নিজস্ব প্রতিবেদক :
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আবারও বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে আগের মতো আলোচনা করে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার হাজনা মো. হাসিম। এরপর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিপি সদস্যদের পাশাপাশি কয়েকজন সাধারণ নাগরিকও বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার (১১ মার্চ) মিয়ানমারের ১৭৭ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এসময় কিছু বেসামরিক লোকও প্রবেশ করেছিলো, তাদেরকে ইতোমধ্যেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগেও মিয়ানমার থেকে বিজিপি সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকেও আগের মতই আলোচনার মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে।
মিয়ানমারের সেনাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে না পারা সক্ষমতা বা অক্ষমতার বিষয় না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এর আগে তারা ভারতেও প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে ফেরতও নেয়া হয়েছিল। সীমান্ত খোলা, তারা যখন প্রতিপক্ষ দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে তখন উপায় না পেয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর বাইরে কিছু নয়।
এসময় রমজানে বাজারে অস্থিরতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে যেভাবে জনরোষ তৈরি হচ্ছে সেটিই আমাদের শক্তি।
‘বিএনপির কারামুক্ত নেতাকর্মীরা দাবি করছে তাদের বাকস্বাধীনতা নেই’ এমন প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা তিনবেলা কথায় কথায় সরকার টেনে নামানোর কথা বলে। তারপর আবার এ ধরনের কথা হাস্যকর। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনের পর তারা হতাশ। এসমস্ত কথা বলে তারা যে এখনও আছে এটিই জানান দেওয়ার চেষ্টা করে।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা এমডি হাশিম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, মালয়েশিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার ও শ্রমিকদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ইকোনোমিক জোনগুলোতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনায় জোর দেওয়া হয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা এমডি হাশিম। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি বড় অংশ বেকার অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, মালয়েশিয়া সরকার এ বিষয়কে অনেক গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। সমাধানের পথ খুঁজছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















