Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণার মাঝে এক এগারোর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে : রাশেদ খান

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি  : 

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণার পেছনে এক এগারোর মতো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

বুধবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো আসনে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেখানে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল মাস গরমের সময়, তখন দেশের মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হবে—এটা স্বাভাবিক। পরিকল্পিতভাবে ভোটার সংখ্যা কম দেখিয়ে পুনঃনির্বাচনের আয়োজন করা হতে পারে, যাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে। এভাবে ভিন্ন কৌশলে দেশে আবারও ১/১১ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। কয়েকজন উপদেষ্টার কথায় দেশ চলতে পারে না। সব রাজনৈতিক পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়া উচিত। মাত্র তিনটি দল সংলাপে জানিয়েছিল তারা এপ্রিলে বা রমজানের আগে নির্বাচন চায়। অথচ বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে সরকার একতরফাভাবে এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে, যা গণতান্ত্রিক নয়।

রাশেদ খান অভিযোগ করেন, করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। মানবিক করিডোরের নামে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। চট্টগ্রাম বন্দরের ইজারার নামে বিদেশি কোনো সংস্থার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলে তা জনগণ প্রতিহত করবে। দেশের জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় দিয়েছে—প্রয়োজনে আবারও দেবে।

তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের পিএস ও এপিএসরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। দুদক ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এসব দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে দেশে সংস্কার হবে—এমন আশা জনগণ করে না। উপদেষ্টারা যদি নিজের দপ্তরই সুশাসনে চালাতে না পারেন, তাহলে তারা জাতিকে কীভাবে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেবেন?

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের পাশাপাশি আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, একজন উপদেষ্টার এপিএস যখন দুর্নীতি করে, এমনি এমনি তো আর কারো এনআইডি লক হয় না। আপনার আমার তো হয়নি। তাহলে সেই এপিএস এর কেন হলো? আমার প্রশ্ন হলো এপিএস এত দুর্নীতি করল, আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তিনি জানতেন না? আমি সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই, এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধুমাত্র তিনি নন প্রত্যেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা দুর্নীতি না করে থাকেন তাহলে আমরা তাকে স্যালুট জানাই। কিন্তু যেহেতু অভিযোগ আসছে, দু-একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মানে অন্যদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমস্যা থাকতে পারে, অভিযোগ থাকতে পারে। সুতরাং সরকারকে বলব, আপানারা বলেছিলেন প্রতি মাসে আপনারা উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দেবেন, এপিএসদের সম্পদের হিসাব দেবেন। আপনারা নাকি মন্ত্রণালয়ে বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের প্রতিমাসে হিসাব দাখিল করতে হবে। এটি বলার পরে কোনো মন্ত্রণালয়ে সম্পদের হিসাব দিয়েছে?

রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে, আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি কি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? গ্রহণযোগ্য হবে না। যে কারণে আমরা সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা রেখেছে, যেসকল স্টেক হোল্ডার রয়েছে, তাদের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কিন্তু সরকার সেই স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল, অন্যান্য যারা নেতৃত্বদানকারী ছিল তাদের কারো সাথে আলোচনা করছে না। তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আমাকে হাসিনার যে এক তরফা চিন্তা, সেটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাছে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবে প্রত্যাশা করতে পারি না।’

আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিষয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট আত্মীয়স্বজনসহ পালিয়ে গেছেন এবং এখন দিল্লিতে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি অডিও বার্তার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উসকে দিচ্ছেন। জনগণ আর আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না। তিনি প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও বিতর্কিত এমপি-মন্ত্রীরা কার সহায়তায় দেশ ছাড়তে পারল? কারা তাদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব সরকারকে দিতে হবে।

সরকার শেখ পরিবারের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, “আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে অপপ্রচার ও হুমকি-ধামিক দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো- আওয়ামী লীগের এসব অপরাধী, শেখ পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিত নির্বাচনে কথিত এমপিরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালো? কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল? এই সরকারকে সেই হিসেব দিতেই হবে। সরকারের উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট নিজের আত্মীয় স্বজন সাথে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন দিল্লিতে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। অডিও বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার উস্কানির ফাঁদে পা দিলে আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মীকেও দেশের জনগণ রেহায় দেবে না। হাসিনার পলায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিও পালিয়ে গেছে। গণহত্যাকারী হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না জনগণ।”

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণার মাঝে এক এগারোর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে : রাশেদ খান

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি  : 

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণার পেছনে এক এগারোর মতো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

বুধবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো আসনে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেখানে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল মাস গরমের সময়, তখন দেশের মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হবে—এটা স্বাভাবিক। পরিকল্পিতভাবে ভোটার সংখ্যা কম দেখিয়ে পুনঃনির্বাচনের আয়োজন করা হতে পারে, যাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে। এভাবে ভিন্ন কৌশলে দেশে আবারও ১/১১ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। কয়েকজন উপদেষ্টার কথায় দেশ চলতে পারে না। সব রাজনৈতিক পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়া উচিত। মাত্র তিনটি দল সংলাপে জানিয়েছিল তারা এপ্রিলে বা রমজানের আগে নির্বাচন চায়। অথচ বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে সরকার একতরফাভাবে এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে, যা গণতান্ত্রিক নয়।

রাশেদ খান অভিযোগ করেন, করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। মানবিক করিডোরের নামে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। চট্টগ্রাম বন্দরের ইজারার নামে বিদেশি কোনো সংস্থার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলে তা জনগণ প্রতিহত করবে। দেশের জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় দিয়েছে—প্রয়োজনে আবারও দেবে।

তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের পিএস ও এপিএসরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। দুদক ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এসব দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে দেশে সংস্কার হবে—এমন আশা জনগণ করে না। উপদেষ্টারা যদি নিজের দপ্তরই সুশাসনে চালাতে না পারেন, তাহলে তারা জাতিকে কীভাবে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেবেন?

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের পাশাপাশি আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, একজন উপদেষ্টার এপিএস যখন দুর্নীতি করে, এমনি এমনি তো আর কারো এনআইডি লক হয় না। আপনার আমার তো হয়নি। তাহলে সেই এপিএস এর কেন হলো? আমার প্রশ্ন হলো এপিএস এত দুর্নীতি করল, আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তিনি জানতেন না? আমি সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই, এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধুমাত্র তিনি নন প্রত্যেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা দুর্নীতি না করে থাকেন তাহলে আমরা তাকে স্যালুট জানাই। কিন্তু যেহেতু অভিযোগ আসছে, দু-একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মানে অন্যদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমস্যা থাকতে পারে, অভিযোগ থাকতে পারে। সুতরাং সরকারকে বলব, আপানারা বলেছিলেন প্রতি মাসে আপনারা উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দেবেন, এপিএসদের সম্পদের হিসাব দেবেন। আপনারা নাকি মন্ত্রণালয়ে বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের প্রতিমাসে হিসাব দাখিল করতে হবে। এটি বলার পরে কোনো মন্ত্রণালয়ে সম্পদের হিসাব দিয়েছে?

রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে, আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি কি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? গ্রহণযোগ্য হবে না। যে কারণে আমরা সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা রেখেছে, যেসকল স্টেক হোল্ডার রয়েছে, তাদের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কিন্তু সরকার সেই স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল, অন্যান্য যারা নেতৃত্বদানকারী ছিল তাদের কারো সাথে আলোচনা করছে না। তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আমাকে হাসিনার যে এক তরফা চিন্তা, সেটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাছে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবে প্রত্যাশা করতে পারি না।’

আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিষয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট আত্মীয়স্বজনসহ পালিয়ে গেছেন এবং এখন দিল্লিতে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি অডিও বার্তার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উসকে দিচ্ছেন। জনগণ আর আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না। তিনি প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও বিতর্কিত এমপি-মন্ত্রীরা কার সহায়তায় দেশ ছাড়তে পারল? কারা তাদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব সরকারকে দিতে হবে।

সরকার শেখ পরিবারের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, “আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে অপপ্রচার ও হুমকি-ধামিক দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো- আওয়ামী লীগের এসব অপরাধী, শেখ পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিত নির্বাচনে কথিত এমপিরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালো? কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল? এই সরকারকে সেই হিসেব দিতেই হবে। সরকারের উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট নিজের আত্মীয় স্বজন সাথে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন দিল্লিতে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। অডিও বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার উস্কানির ফাঁদে পা দিলে আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মীকেও দেশের জনগণ রেহায় দেবে না। হাসিনার পলায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিও পালিয়ে গেছে। গণহত্যাকারী হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না জনগণ।”