Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনবিআরের সাবেক কমিশনারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ওই আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের নির্দেশনায় ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চারটি মোবাইল কোম্পানির স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা জানায় । কিন্তু তারা নির্ধারিত কর মেয়াদে ওই অর্থ পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা। আইন অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ দেন।

সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোনের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংকের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবির কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এনবিআরের সাবেক কমিশনারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ওই আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের নির্দেশনায় ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চারটি মোবাইল কোম্পানির স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা জানায় । কিন্তু তারা নির্ধারিত কর মেয়াদে ওই অর্থ পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা। আইন অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ দেন।

সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোনের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংকের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবির কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।