Dhaka মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম এখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে যাচ্ছে না : ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম এখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে যাচ্ছে না। যতদিন তাদের অফিস, লোকবলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন না হবে ততদিন ইসির অধীনেই থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রই ইসিকে এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। আবার আইন করে নিয়েও যাচ্ছে। আইনের পর বিধি হবে। এরপর অফিস ও জনবল নিয়োগ করতে হবে। এরপর এনআইডি নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইসি সচিব বলেন, সার্ভার কখনো সাটডাউন হয়ে যায়, কখনো করতে হয়। এটা আগাম জানানো সম্ভব হয় না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যে কোনো সময় সাটডাউন হতে পারে। যেখানে তথ্যভাণ্ডার সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি থাকে বলেই সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অনেক সেবাগ্রহীতা থাকায় কোনো আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাটাবেজে ঝুঁকি তো থাকবেই। এটা আসলে করার কিছু নেই। আগে বুঝতে হবে বিপদ বা রেগুলার রক্ষণাবেক্ষণ, এ জাতীয় বিষয়গুলোতে ঝুঁকি সবসময় থাকে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে সে অনুযায়ী প্রতিরক্ষা করতে হবে। একটা ব্যাংকের যেমন যে কোনো সময় ঝুঁকি থাকে, তেমনই আমাদের এত বড় ডাটাবেজেও ঝুঁকি আছে।

তিনি আরও বলেন, এটা (ডাটাবেজ) মূল্যবান একটা সম্পদ। এটা প্রতিনয়ত আপডেট করা হচ্ছে। যা গতানুগতিক কাজ। আর একদিন-দুদিনের জন্য সার্ভার অফ সারা দুনিয়াতেই হয়।

নতুন আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের বিষয়টি নতুন আইনে দেওয়া আছে। সরকার গেজেট দিয়ে এটি কার্যকরের তারিখ নির্ধারণ করলেই তা কার্যকর করা হবে। যতক্ষণ আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এনআইডি কার্যক্রম যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, নতুন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রস্তুতি (দপ্তর ও জনবল) সম্পন্ন করে তারিখ নির্ধারণ না করবে ততদিন ইসিই এ কাজ পরিচালনা করবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখি না।

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলম আরও বলের, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা পিছিয়ে নেই। প্রশিক্ষক তৈরির প্রশিক্ষণ চলছে। গত ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। তারা ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।

এরপর আমরা ইউএনও, জেলা নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ কমিশনারদের প্রশিক্ষণ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। চারটা ব্যাচে ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা, আইন সংশোধন ইত্যাদি সম্পর্কে ব্রিফিং হবে। নভেম্বর মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ চলবে।

ইসি সচিব বলেন, সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কে হবেন তা এখন সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিলের সিদ্ধান্তও হয়নি। কমিশন বৈঠকে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।

ভোট বিতর্কিত না করার জন্য বার্তা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে একটা পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে এটা জানাবে। আমরা টাইম লাইনের মধ্যে ঢুকে গেছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আমরা কাজ করবো।

আবহাওয়া

এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম এখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে যাচ্ছে না : ইসি সচিব

প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম এখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে যাচ্ছে না। যতদিন তাদের অফিস, লোকবলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন না হবে ততদিন ইসির অধীনেই থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রই ইসিকে এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। আবার আইন করে নিয়েও যাচ্ছে। আইনের পর বিধি হবে। এরপর অফিস ও জনবল নিয়োগ করতে হবে। এরপর এনআইডি নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইসি সচিব বলেন, সার্ভার কখনো সাটডাউন হয়ে যায়, কখনো করতে হয়। এটা আগাম জানানো সম্ভব হয় না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যে কোনো সময় সাটডাউন হতে পারে। যেখানে তথ্যভাণ্ডার সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি থাকে বলেই সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অনেক সেবাগ্রহীতা থাকায় কোনো আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাটাবেজে ঝুঁকি তো থাকবেই। এটা আসলে করার কিছু নেই। আগে বুঝতে হবে বিপদ বা রেগুলার রক্ষণাবেক্ষণ, এ জাতীয় বিষয়গুলোতে ঝুঁকি সবসময় থাকে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে সে অনুযায়ী প্রতিরক্ষা করতে হবে। একটা ব্যাংকের যেমন যে কোনো সময় ঝুঁকি থাকে, তেমনই আমাদের এত বড় ডাটাবেজেও ঝুঁকি আছে।

তিনি আরও বলেন, এটা (ডাটাবেজ) মূল্যবান একটা সম্পদ। এটা প্রতিনয়ত আপডেট করা হচ্ছে। যা গতানুগতিক কাজ। আর একদিন-দুদিনের জন্য সার্ভার অফ সারা দুনিয়াতেই হয়।

নতুন আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের বিষয়টি নতুন আইনে দেওয়া আছে। সরকার গেজেট দিয়ে এটি কার্যকরের তারিখ নির্ধারণ করলেই তা কার্যকর করা হবে। যতক্ষণ আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এনআইডি কার্যক্রম যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, নতুন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রস্তুতি (দপ্তর ও জনবল) সম্পন্ন করে তারিখ নির্ধারণ না করবে ততদিন ইসিই এ কাজ পরিচালনা করবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখি না।

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলম আরও বলের, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা পিছিয়ে নেই। প্রশিক্ষক তৈরির প্রশিক্ষণ চলছে। গত ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। তারা ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।

এরপর আমরা ইউএনও, জেলা নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ কমিশনারদের প্রশিক্ষণ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। চারটা ব্যাচে ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা, আইন সংশোধন ইত্যাদি সম্পর্কে ব্রিফিং হবে। নভেম্বর মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ চলবে।

ইসি সচিব বলেন, সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কে হবেন তা এখন সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিলের সিদ্ধান্তও হয়নি। কমিশন বৈঠকে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।

ভোট বিতর্কিত না করার জন্য বার্তা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে একটা পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে এটা জানাবে। আমরা টাইম লাইনের মধ্যে ঢুকে গেছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আমরা কাজ করবো।