Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এতদিন আওয়ামী লীগ খেলেছে, এখন জনগণের খেলার সময় : জয়নুল আবদিন ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতা রুখতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলছেন, নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা চলছে। তাই এ শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। এতদিন আওয়ামী লীগ খেলেছে, এখন জনগণের খেলার সময় এসেছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বিকশিত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে শেখ হাসিনার পতনের পর গণমাধ্যম স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু জুলাই-আগস্টের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা রুখতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নির্বাচনকে বানচাল করতে, প্রশ্নবিদ্ধ করতে মব সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। এতদিন আওয়ামী লীগ খেলেছে এখন জনগণের খেলার সময় এসেছে।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না। এ আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে ড. ইউনূসের কাছে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করুন। তারেক রহমানের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানাই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকাশক্তি হবে তরুণ সমাজ। শহিদ জিয়ার আদর্শে গড়া ছাত্রদল অতীতে রক্ত ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের তাদের দেশ ভক্তি। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব ও তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনে তারা অগ্নিপরীক্ষায় অংশ নেবে।

তিনি বলেন, আমি সব ছাত্র-ছাত্রীকে আহ্বান জানাই জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাস রেখে, জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগ স্মরণ করে, ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে বিজয়ী করুন।

ফারুক বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের অটুট ভালোবাসা, বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের ধৈর্য আজও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে, কিন্তু বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

তিনি দাবি করেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে রেখেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে বিএনপি ও এর সহযোগী শক্তি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। তারেক রহমানকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজের দুর্দান্ত সাহস ও নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

জামায়াত ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এক দিকে মসজিদে মসজিদে নির্বাচনী প্রচার করবেন, আরেকদিকে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি করবেন। কারণ আপনারা তো এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারেননি।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জুলাই আগস্ট বিপ্লবকে পূর্ণ সমর্থনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, সেই ইতিহাসকে আরেকবার কলঙ্কিত করার জন্য হিন্দুস্তানের কলকাতায় বসে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে কারা শঙ্কা তৈরি করছে, এবং তাদের কেন ধরা হচ্ছে মন্তব্য করে সরকারের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, সরকার আপনি বসে আছেন কেন? আপনার আশেপাশেই তো শঙ্কা তৈরি করা লোকগুলো বসে আছে। কারা মিছিল করে বুঝতে পারেন না? কারা মব সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে, সেটা জানতে পারেন না? আপনি কারো ব্যক্তিগত লোক না, আপনি রক্তে রঞ্জিত ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, এতদিন খেলেছে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত গুন্ডা বাহিনী। এখন জনগণের খেলা শুরু হয়ে গেছে। এই খেলা আল্লাহ ছাড়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে, সেটা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। যে সব প্রেতাত্মা সচিবালয়, কলকাতা এবং দেশে বসে গুপ্তচর বিক্রি করে আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে, তাদের তালিকা অনতিবিলম্বে প্রকাশ করে তাদের আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। আপনি একটি ওয়ার্ডের মেম্বার ইলেকশন পর্যন্ত দখল করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি যে কলঙ্ক সৃষ্টি করে গেছেন, কিন্তু দেশের জনগণের ইমানের জোর অনেক বেশি। আপনার কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেবে না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম, সিরাজীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

এতদিন আওয়ামী লীগ খেলেছে, এখন জনগণের খেলার সময় : জয়নুল আবদিন ফারুক

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতা রুখতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলছেন, নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা চলছে। তাই এ শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। এতদিন আওয়ামী লীগ খেলেছে, এখন জনগণের খেলার সময় এসেছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বিকশিত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে শেখ হাসিনার পতনের পর গণমাধ্যম স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু জুলাই-আগস্টের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা রুখতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নির্বাচনকে বানচাল করতে, প্রশ্নবিদ্ধ করতে মব সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। এতদিন আওয়ামী লীগ খেলেছে এখন জনগণের খেলার সময় এসেছে।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না। এ আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে ড. ইউনূসের কাছে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করুন। তারেক রহমানের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানাই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকাশক্তি হবে তরুণ সমাজ। শহিদ জিয়ার আদর্শে গড়া ছাত্রদল অতীতে রক্ত ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের তাদের দেশ ভক্তি। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব ও তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনে তারা অগ্নিপরীক্ষায় অংশ নেবে।

তিনি বলেন, আমি সব ছাত্র-ছাত্রীকে আহ্বান জানাই জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাস রেখে, জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগ স্মরণ করে, ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে বিজয়ী করুন।

ফারুক বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের অটুট ভালোবাসা, বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের ধৈর্য আজও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে, কিন্তু বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

তিনি দাবি করেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে রেখেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে বিএনপি ও এর সহযোগী শক্তি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। তারেক রহমানকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজের দুর্দান্ত সাহস ও নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

জামায়াত ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এক দিকে মসজিদে মসজিদে নির্বাচনী প্রচার করবেন, আরেকদিকে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি করবেন। কারণ আপনারা তো এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারেননি।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জুলাই আগস্ট বিপ্লবকে পূর্ণ সমর্থনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, সেই ইতিহাসকে আরেকবার কলঙ্কিত করার জন্য হিন্দুস্তানের কলকাতায় বসে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে কারা শঙ্কা তৈরি করছে, এবং তাদের কেন ধরা হচ্ছে মন্তব্য করে সরকারের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, সরকার আপনি বসে আছেন কেন? আপনার আশেপাশেই তো শঙ্কা তৈরি করা লোকগুলো বসে আছে। কারা মিছিল করে বুঝতে পারেন না? কারা মব সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে, সেটা জানতে পারেন না? আপনি কারো ব্যক্তিগত লোক না, আপনি রক্তে রঞ্জিত ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, এতদিন খেলেছে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত গুন্ডা বাহিনী। এখন জনগণের খেলা শুরু হয়ে গেছে। এই খেলা আল্লাহ ছাড়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে, সেটা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। যে সব প্রেতাত্মা সচিবালয়, কলকাতা এবং দেশে বসে গুপ্তচর বিক্রি করে আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে, তাদের তালিকা অনতিবিলম্বে প্রকাশ করে তাদের আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। আপনি একটি ওয়ার্ডের মেম্বার ইলেকশন পর্যন্ত দখল করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি যে কলঙ্ক সৃষ্টি করে গেছেন, কিন্তু দেশের জনগণের ইমানের জোর অনেক বেশি। আপনার কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেবে না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম, সিরাজীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।