Dhaka শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এডিসি হারুনকাণ্ডে চারজন অভিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় চার-পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক ও এডিসি হারুন অর রশিদের দায় রয়েছে। এছাড়া শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন্স) গোলাম মোস্তফা ও হারুনের দেহরক্ষী আলী হোসেনের নামও তদন্তে উঠে এসেছে।

এপিএস আজিজুল হক তাঁর স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে শারীরিকভাবে আঘাত না করে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে এ ঘটনা এড়ানো যেত বলে মত দিয়েছে কমিটি।

তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ্ জানান, এ ঘটনায় পৃথকভাবে প্রত্যেকের দায় নিরূপণ করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন এখনও জমা দেওয়া হয়নি। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে, শিগগির জমা দেওয়া হবে।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এডিসি হারুন ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় এনে মারধর করে বিষয়টি জটিল করেছেন। পুরো ঘটনায় সরকার বিব্রত। কমিটি মনে করে, এ ঘটনা ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে অস্বস্তিকর ও আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এপিএস আজিজুল হক তার স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখে শারীরিকভাবে আঘাত না করে তাৎক্ষণিকভাবে ওপরে কাউকে জানিয়ে ঘটনা এড়াতে পারতেন।

দুই ক্যাডার কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে ১২ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত হন। পরে তিনবার বদলি করে অবশেষে তাঁকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে সংযুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ঘটনার ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা, এডিসি হারুন, এডিসি সানজিদা আফরিন ও তাঁর স্বামী আজিজুল হক এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন।

আবহাওয়া

রাজশাহীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত

এডিসি হারুনকাণ্ডে চারজন অভিযুক্ত

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় চার-পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক ও এডিসি হারুন অর রশিদের দায় রয়েছে। এছাড়া শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন্স) গোলাম মোস্তফা ও হারুনের দেহরক্ষী আলী হোসেনের নামও তদন্তে উঠে এসেছে।

এপিএস আজিজুল হক তাঁর স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে শারীরিকভাবে আঘাত না করে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে এ ঘটনা এড়ানো যেত বলে মত দিয়েছে কমিটি।

তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ্ জানান, এ ঘটনায় পৃথকভাবে প্রত্যেকের দায় নিরূপণ করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন এখনও জমা দেওয়া হয়নি। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে, শিগগির জমা দেওয়া হবে।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এডিসি হারুন ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় এনে মারধর করে বিষয়টি জটিল করেছেন। পুরো ঘটনায় সরকার বিব্রত। কমিটি মনে করে, এ ঘটনা ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে অস্বস্তিকর ও আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এপিএস আজিজুল হক তার স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখে শারীরিকভাবে আঘাত না করে তাৎক্ষণিকভাবে ওপরে কাউকে জানিয়ে ঘটনা এড়াতে পারতেন।

দুই ক্যাডার কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে ১২ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত হন। পরে তিনবার বদলি করে অবশেষে তাঁকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে সংযুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ঘটনার ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা, এডিসি হারুন, এডিসি সানজিদা আফরিন ও তাঁর স্বামী আজিজুল হক এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন।