Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এগুলো জামায়াতের নয়, বিএনপির বক্তব্য : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার (১০ জুন) জামায়াতের সমাবেশ থেকে যেভাবে আস্ফালন করা হয়েছে, এগুলো আসলে জামায়াতের বক্তব্য নয়, বিএনপির বক্তব্য। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলেছে।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বইমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১০ জুন) জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে বক্তারা বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেটিরই ইঙ্গিত তারা গতকাল দিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান শরিক হচ্ছে জামায়াত। বিএনপি জামায়াতকে দিয়ে কথাগুলো বলিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০১৩,১৪,১৫ সালের পুনরাবৃত্তি করতে দেবে না। তাদের সুযোগ দিলে যে তারা কি করতে পারে। সেটি গতকাল তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। এটি পরিষ্কার করারও প্রয়োজন ছিল।

জামায়াতকে এ সময় মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হলো কেন জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জামায়াত যেহেতু এখনও নিষিদ্ধ হয়নি, তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে সমাবেশের জন্য আবেদন করেছিল সেজন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকালকে জামায়াতের যে বক্তব্য এটি আসলে বিএনপিরও বক্তব্য।

এরপরও কি জামায়াতকে আরও সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারে। কেন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে তাদের সভা সমাবেশ করার অধিকার থাকে না। যেকোনো রাজনৈতিক দল যতক্ষণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ না হয়, তারা সভা সমাবেশ করার অধিকার রাখে।

একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন এসেছে যে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় সাজাতে বলা হয়েছে এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কোন পত্রিকায় কি লেখা হলো কোন অফিস সাজানোর কথা বলা হলো সেটির জবাবতো আমি দেবো না। যে পত্রিকায় লিখেছে তাকে জিজ্ঞেস করেন কোথায় অফিস সাজানো হচ্ছে। তারাই এটির উত্তর দেবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর একটি বিষয় হচ্ছে, সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচন মানে নির্বাচনের দিন নির্বাচন নয়। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় অনেক আগের থেকে। নির্বাচনের বাকি মাত্র ৬ মাস এ সময় সব রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ মিটিং করবে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে এটিই স্বাভাবিক। সে কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ করছে। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের উদ্দেশ্য কিন্তু তা নয়। আমরা অতীত যদি পর্যালোচনা করি, তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য যদি ব্যাখা করি তাহলে দেখতে পাই তারা অতীতের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এদেশের মানুষ এটি হতে দেবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

এগুলো জামায়াতের নয়, বিএনপির বক্তব্য : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার (১০ জুন) জামায়াতের সমাবেশ থেকে যেভাবে আস্ফালন করা হয়েছে, এগুলো আসলে জামায়াতের বক্তব্য নয়, বিএনপির বক্তব্য। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলেছে।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বইমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১০ জুন) জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে বক্তারা বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেটিরই ইঙ্গিত তারা গতকাল দিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান শরিক হচ্ছে জামায়াত। বিএনপি জামায়াতকে দিয়ে কথাগুলো বলিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০১৩,১৪,১৫ সালের পুনরাবৃত্তি করতে দেবে না। তাদের সুযোগ দিলে যে তারা কি করতে পারে। সেটি গতকাল তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। এটি পরিষ্কার করারও প্রয়োজন ছিল।

জামায়াতকে এ সময় মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হলো কেন জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জামায়াত যেহেতু এখনও নিষিদ্ধ হয়নি, তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে সমাবেশের জন্য আবেদন করেছিল সেজন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকালকে জামায়াতের যে বক্তব্য এটি আসলে বিএনপিরও বক্তব্য।

এরপরও কি জামায়াতকে আরও সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারে। কেন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে তাদের সভা সমাবেশ করার অধিকার থাকে না। যেকোনো রাজনৈতিক দল যতক্ষণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ না হয়, তারা সভা সমাবেশ করার অধিকার রাখে।

একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন এসেছে যে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় সাজাতে বলা হয়েছে এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কোন পত্রিকায় কি লেখা হলো কোন অফিস সাজানোর কথা বলা হলো সেটির জবাবতো আমি দেবো না। যে পত্রিকায় লিখেছে তাকে জিজ্ঞেস করেন কোথায় অফিস সাজানো হচ্ছে। তারাই এটির উত্তর দেবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর একটি বিষয় হচ্ছে, সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচন মানে নির্বাচনের দিন নির্বাচন নয়। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় অনেক আগের থেকে। নির্বাচনের বাকি মাত্র ৬ মাস এ সময় সব রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ মিটিং করবে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে এটিই স্বাভাবিক। সে কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ করছে। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের উদ্দেশ্য কিন্তু তা নয়। আমরা অতীত যদি পর্যালোচনা করি, তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য যদি ব্যাখা করি তাহলে দেখতে পাই তারা অতীতের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এদেশের মানুষ এটি হতে দেবে না।