Dhaka বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আলোচনা চলমান থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ডাকা আন্দোলনকে আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এখনও আলোচনা চলছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আন্দোলনের ডাক বিষয়ে জনগণের প্রশ্ন থেকে যাবে।

তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নির্বাচন নিয়ে তাদের অনীহা আছে। যেটা নিয়ে ঐকমত্য হয়নি এখনো, আলেচনাও চলমান, সেখানে আন্দোলন ডাকার অর্থ আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সেই প্রশ্ন জনগণের মাঝে চলে এসেছে। বিতাড়িত শক্তিকে ফেরত আসার পথ তৈরি হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নও থেকে যাবে।

আমীর খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে মাঠ দখল করতে হলে নির্বাচনে গিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার প্রতি কোনো ধরনের সম্মান দেখাচ্ছে না কর্মসূচি দানকারী দলগুলো। যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ।

বিএনপির এ নেতা বলেন, চাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের পথে নেমে গেছে। জনগণ যেখানে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়, তখন মাঠ দখল করতে হবে ভোটের প্রচারণার মাধ্যমে। জনগণের চাওয়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সেখানে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে যার যার রাজনৈতিক ভবিষ্যত সে বুঝে নেবে।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় কি না, এমন প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনীহার কারণেই আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (জামায়াত) দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সে প্রশ্নও জনগণের মাঝে চলে এসেছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে মাঠ দখল করতে হলে নির্বাচনে গিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার প্রতি কোনো ধরনের সম্মান দেখাচ্ছে না কর্মসূচি দানকারী দলগুলো। যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ।

আনুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সে প্রশ্নও জনগণের মাঝে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনীহার কারণেই আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সে প্রশ্নও জনগণের মাঝে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, পিআরের দাবিতে আন্দোলন বিএনপিকে কোনোভাবেই চাপে ফেলছে না। জনগণ যেখানে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়, তখন মাঠ দখল করতে হবে ভোটের প্রচারণার মাধ্যমে। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের পথে নেমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে মাঠ দখল এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ দেশ চাওয়ার আকাঙ্খায় কেউ বাধা সৃষ্টি করলে যার যার রাজনৈতিক ভবিষ্যত সে বুঝে নেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আলোচনা চলমান থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ডাকা আন্দোলনকে আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এখনও আলোচনা চলছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আন্দোলনের ডাক বিষয়ে জনগণের প্রশ্ন থেকে যাবে।

তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নির্বাচন নিয়ে তাদের অনীহা আছে। যেটা নিয়ে ঐকমত্য হয়নি এখনো, আলেচনাও চলমান, সেখানে আন্দোলন ডাকার অর্থ আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সেই প্রশ্ন জনগণের মাঝে চলে এসেছে। বিতাড়িত শক্তিকে ফেরত আসার পথ তৈরি হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নও থেকে যাবে।

আমীর খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে মাঠ দখল করতে হলে নির্বাচনে গিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার প্রতি কোনো ধরনের সম্মান দেখাচ্ছে না কর্মসূচি দানকারী দলগুলো। যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ।

বিএনপির এ নেতা বলেন, চাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের পথে নেমে গেছে। জনগণ যেখানে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়, তখন মাঠ দখল করতে হবে ভোটের প্রচারণার মাধ্যমে। জনগণের চাওয়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সেখানে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে যার যার রাজনৈতিক ভবিষ্যত সে বুঝে নেবে।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় কি না, এমন প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনীহার কারণেই আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (জামায়াত) দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সে প্রশ্নও জনগণের মাঝে চলে এসেছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে মাঠ দখল করতে হলে নির্বাচনে গিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার প্রতি কোনো ধরনের সম্মান দেখাচ্ছে না কর্মসূচি দানকারী দলগুলো। যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ।

আনুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সে প্রশ্নও জনগণের মাঝে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনীহার কারণেই আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা সে প্রশ্নও জনগণের মাঝে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, পিআরের দাবিতে আন্দোলন বিএনপিকে কোনোভাবেই চাপে ফেলছে না। জনগণ যেখানে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়, তখন মাঠ দখল করতে হবে ভোটের প্রচারণার মাধ্যমে। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের পথে নেমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে মাঠ দখল এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ দেশ চাওয়ার আকাঙ্খায় কেউ বাধা সৃষ্টি করলে যার যার রাজনৈতিক ভবিষ্যত সে বুঝে নেবে।