Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখনই রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় আমাদের নেই : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

নতুন রাজনৈতিক দল খোলা প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এখনই রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে যারা আছেন কারোই ক্ষমতার অভিলাষ নেই। সবার পেশাগত জীবন আছে, সবাই সেখানে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ একটা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে যে দায়িত্বটা দিয়েছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আকাংখার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছেন আমাদের থেকে, কথা হচ্ছে এ বিষয়ে এর আগেও আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাস নেই।

সংস্কারের আগে নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, যে সংষ্কারের কথা আমরা বলছি সেটা ছিল এক দফারই অংশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু এক দফার যে মূল অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ- সেই ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আর এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচনের জন্য কিংবা ক্ষমতার পালা বদলের জন্য এই অভ্যুত্থানে আসেনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, জনগণ তো নির্বাচনের জন্য বা ক্ষমতার পালা বদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেননি। যদি আসতো সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসতো। এই অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য। বিদ্যমান ব্যবস্থার যদি সংস্কার করে দিতে না পারি, যে রাজনৈতিক সরকারই ক্ষমতায় আসুক, এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্যে নিজেও স্বৈরাচার হতে বাধ্য হবে। সে কারণেই এই সংস্কারটা অত্যাবশকীয়। দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, দেশ পুনর্গঠনের প্রস্তাব মানুষের মধ্য থেকে আসবে, সেটার বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব হবে।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি সেটা এক দফারই অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই আট দফার যে মূল অংশ ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ, সে বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে।

রাষ্ট্রের সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম আছেন, তিনি এবং উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, এই দুজনের নেতৃত্বে আমাদের একটি টিম করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রেগুলার বেসিসে বসছেন। অফিসিয়াল বসার বাইরেও আনঅফিসিয়ালি যোগাযোগ রাখছেন যাতে আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। দেশ পুনর্গঠনের এই যাত্রায় রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।

গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গত শনিবার আমরা বিজিএমইতে তিনজন উপদেষ্টাসহ আমাদের পুরো টিম একটা আলোচনায় ছিলাম। রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার, এই সময়টাতে কিন্তু গত সপ্তাহের তুলনায় যে আনরেস্ট ছিল সেটা ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। কিছু কিছু জায়গায়, খুব স্পেসিফিক দুই-তিনটা কারখানায় এখন আনরেস্টের মতো সিচুয়েশন আছে। সেটাও আমরা মনে করি দ্রুতই প্রশমন হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে কমিটি করে দিয়েছি, পর্যবেক্ষণ সেল করা হয়েছে। সেখানে শ্রমিকেরা অভিযোগ জানাচ্ছেন। তারা আস্থা রেখেছেন বলে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সেল খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে। আমাদের সেই কমিটি কিন্তু বিভিন্ন জায়গায়, আশুলিয়ায় শ্রমিক আনরেস্টের জায়গায় ভিজিট করছেন এবং সমস্যাগুলোকে অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছেন।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে সমন্বয়কেরা মতবিনিময় সভা করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়া নিয়েও প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। আসিফ মাহমুদ বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমি এবং মাননীয় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সরকারে এসেছি। আমরা আমাদের যে দায়িত্ব সেটা পালন করছি। যারা এই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা মনে করছেন দেশ পুনর্গঠনের যে লড়াইটা সামনে আছে, সেই লড়াইয়ে দেশের জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন করতে হলে তো জনগণের কথা শুনতে হবে। সেই কারণে তারা সব জায়গায় টিম করে যাচ্ছেন এবং মানুষের কথা শোনার চেষ্টা করছেন। সেখানে কিছু পরিস্থিতির কথা আমি শুনতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটা পুরনো কালচার। যে কোন ভাল উদ্যোগকে বিতর্কিত করার জন্য কিছু মানুষ তো থাকেই। সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক ভুয়া, অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছেন। যে দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা আমরা বলি, তার পরই অনেকে চাঁদাবাজির মতো ঘটনা করছেন। আমরা মনে করি, এগুলোর অবসান ঘটবে। আমাদের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য হয়েছিল তা থাকবে এবং তার মধ্য দিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সুইস টিপে এই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পুটিআইনেন, জিআইজেড বাংলাদেশ টেক্সটাইল ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর এম এস ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ, ডেনিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড আন্দ্রেস কার্লসেন।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

এখনই রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় আমাদের নেই : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

নতুন রাজনৈতিক দল খোলা প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এখনই রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে যারা আছেন কারোই ক্ষমতার অভিলাষ নেই। সবার পেশাগত জীবন আছে, সবাই সেখানে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ একটা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে যে দায়িত্বটা দিয়েছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আকাংখার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছেন আমাদের থেকে, কথা হচ্ছে এ বিষয়ে এর আগেও আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাস নেই।

সংস্কারের আগে নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, যে সংষ্কারের কথা আমরা বলছি সেটা ছিল এক দফারই অংশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু এক দফার যে মূল অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ- সেই ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আর এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচনের জন্য কিংবা ক্ষমতার পালা বদলের জন্য এই অভ্যুত্থানে আসেনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, জনগণ তো নির্বাচনের জন্য বা ক্ষমতার পালা বদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেননি। যদি আসতো সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসতো। এই অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য। বিদ্যমান ব্যবস্থার যদি সংস্কার করে দিতে না পারি, যে রাজনৈতিক সরকারই ক্ষমতায় আসুক, এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্যে নিজেও স্বৈরাচার হতে বাধ্য হবে। সে কারণেই এই সংস্কারটা অত্যাবশকীয়। দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, দেশ পুনর্গঠনের প্রস্তাব মানুষের মধ্য থেকে আসবে, সেটার বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব হবে।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি সেটা এক দফারই অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই আট দফার যে মূল অংশ ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ, সে বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে।

রাষ্ট্রের সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম আছেন, তিনি এবং উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, এই দুজনের নেতৃত্বে আমাদের একটি টিম করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রেগুলার বেসিসে বসছেন। অফিসিয়াল বসার বাইরেও আনঅফিসিয়ালি যোগাযোগ রাখছেন যাতে আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। দেশ পুনর্গঠনের এই যাত্রায় রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।

গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গত শনিবার আমরা বিজিএমইতে তিনজন উপদেষ্টাসহ আমাদের পুরো টিম একটা আলোচনায় ছিলাম। রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার, এই সময়টাতে কিন্তু গত সপ্তাহের তুলনায় যে আনরেস্ট ছিল সেটা ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। কিছু কিছু জায়গায়, খুব স্পেসিফিক দুই-তিনটা কারখানায় এখন আনরেস্টের মতো সিচুয়েশন আছে। সেটাও আমরা মনে করি দ্রুতই প্রশমন হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে কমিটি করে দিয়েছি, পর্যবেক্ষণ সেল করা হয়েছে। সেখানে শ্রমিকেরা অভিযোগ জানাচ্ছেন। তারা আস্থা রেখেছেন বলে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সেল খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে। আমাদের সেই কমিটি কিন্তু বিভিন্ন জায়গায়, আশুলিয়ায় শ্রমিক আনরেস্টের জায়গায় ভিজিট করছেন এবং সমস্যাগুলোকে অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছেন।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে সমন্বয়কেরা মতবিনিময় সভা করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়া নিয়েও প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। আসিফ মাহমুদ বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমি এবং মাননীয় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সরকারে এসেছি। আমরা আমাদের যে দায়িত্ব সেটা পালন করছি। যারা এই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা মনে করছেন দেশ পুনর্গঠনের যে লড়াইটা সামনে আছে, সেই লড়াইয়ে দেশের জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন করতে হলে তো জনগণের কথা শুনতে হবে। সেই কারণে তারা সব জায়গায় টিম করে যাচ্ছেন এবং মানুষের কথা শোনার চেষ্টা করছেন। সেখানে কিছু পরিস্থিতির কথা আমি শুনতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটা পুরনো কালচার। যে কোন ভাল উদ্যোগকে বিতর্কিত করার জন্য কিছু মানুষ তো থাকেই। সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক ভুয়া, অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছেন। যে দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা আমরা বলি, তার পরই অনেকে চাঁদাবাজির মতো ঘটনা করছেন। আমরা মনে করি, এগুলোর অবসান ঘটবে। আমাদের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য হয়েছিল তা থাকবে এবং তার মধ্য দিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সুইস টিপে এই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পুটিআইনেন, জিআইজেড বাংলাদেশ টেক্সটাইল ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর এম এস ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ, ডেনিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড আন্দ্রেস কার্লসেন।