Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক মাসে ১২০০ ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

বিপাকে পড়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। এক দিনেই বাতিল হয়েছে সংস্থাটির দুইশ’র বেশি ফ্লাইট। ফলে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এমনটাই ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থা জানিয়েছে।

অনভিপ্রেত এই ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এখানেই শেষ নয়, নভেম্বর মাসেই ইন্ডিগোর ১,২৩২ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। কেন এই চরম অব্যবস্থাপনা তা জানতে সংস্থার কাছে রিপোর্টও চেয়েছে ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। প্রতি দিন ২২শ’টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে ইন্ডিগো।

কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, মঙ্গলবার থেকে বিমানসংস্থাটির ঠিকমতো পরিষেবা প্রদানের হার মাত্র ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও হয়নি। মঙ্গলবার ১৪০০শ’র বেশি উড়ানের সময়সূচিতে রদবদল করতে হয়েছে ইন্ডিগোকে। বুধবারও পরিস্থিতি বদলায়নি।
গত মাসেই সংশোধন করা হয়েছে বিমানকর্মীদের কাজের সময়সূচি বা ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (এফডিটিএল)।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন বিমানকর্মী দিনে আট ঘণ্টা, সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টা, মাসে ১২৫ ঘণ্টা এবং বছরে সর্বোচ্চ এক হাজার ঘণ্টা কাজ করবেন। সঙ্গে বিশ্রামের জন্যও বাধ্যতামূলক ভাবে নির্দিষ্ট সময় রাখতে হবে। দিনে কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ থাকবে, যাতে পাইলট এবং কেবিন ক্রুরা সকলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান। এতে কাজের সময় পাইলটদের ক্লান্তি কিংবা অসাবধানতায় বড়সড় বিপদ ঘটার ঝুঁকি কমবে। তবে ইন্ডিগো সূত্রে খবর, এর জেরেই আপাতত দিনের কোনও এক নির্দিষ্ট সময়ে সংস্থার কর্মীসংখ্যায় টান পড়ছে।

তার উপর যাত্রীদের ভিড় বেড়ে গেলে সেই বাড়তি চাপও নিতে হচ্ছে কর্তব্যরত কর্মীদের। সূত্রের খবর, পাইলট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক কেবিন ক্রু না থাকায় অনেক উড়ান বাতিল করতে হচ্ছে। কখনও আবার বদলাতে হচ্ছে সময়সূচি।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায়

এক মাসে ১২০০ ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর!

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

বিপাকে পড়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। এক দিনেই বাতিল হয়েছে সংস্থাটির দুইশ’র বেশি ফ্লাইট। ফলে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এমনটাই ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থা জানিয়েছে।

অনভিপ্রেত এই ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এখানেই শেষ নয়, নভেম্বর মাসেই ইন্ডিগোর ১,২৩২ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। কেন এই চরম অব্যবস্থাপনা তা জানতে সংস্থার কাছে রিপোর্টও চেয়েছে ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। প্রতি দিন ২২শ’টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে ইন্ডিগো।

কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, মঙ্গলবার থেকে বিমানসংস্থাটির ঠিকমতো পরিষেবা প্রদানের হার মাত্র ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও হয়নি। মঙ্গলবার ১৪০০শ’র বেশি উড়ানের সময়সূচিতে রদবদল করতে হয়েছে ইন্ডিগোকে। বুধবারও পরিস্থিতি বদলায়নি।
গত মাসেই সংশোধন করা হয়েছে বিমানকর্মীদের কাজের সময়সূচি বা ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (এফডিটিএল)।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন বিমানকর্মী দিনে আট ঘণ্টা, সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টা, মাসে ১২৫ ঘণ্টা এবং বছরে সর্বোচ্চ এক হাজার ঘণ্টা কাজ করবেন। সঙ্গে বিশ্রামের জন্যও বাধ্যতামূলক ভাবে নির্দিষ্ট সময় রাখতে হবে। দিনে কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ থাকবে, যাতে পাইলট এবং কেবিন ক্রুরা সকলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান। এতে কাজের সময় পাইলটদের ক্লান্তি কিংবা অসাবধানতায় বড়সড় বিপদ ঘটার ঝুঁকি কমবে। তবে ইন্ডিগো সূত্রে খবর, এর জেরেই আপাতত দিনের কোনও এক নির্দিষ্ট সময়ে সংস্থার কর্মীসংখ্যায় টান পড়ছে।

তার উপর যাত্রীদের ভিড় বেড়ে গেলে সেই বাড়তি চাপও নিতে হচ্ছে কর্তব্যরত কর্মীদের। সূত্রের খবর, পাইলট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক কেবিন ক্রু না থাকায় অনেক উড়ান বাতিল করতে হচ্ছে। কখনও আবার বদলাতে হচ্ছে সময়সূচি।