Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক বছরে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৭৯২ কোটি টাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদায়ী বছরে দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসের লাইন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বেশি। এসব আগুনে মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের। এছাড়া ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা পায়। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হন।

এদিকে আগুন নির্বাপণের সময় ৪৮ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নি নির্বাপণে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২%), বিড়ি সিগারেট জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬%), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১%), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪%), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯%), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫%) এবং বাজি পোড়ানো থেকে ৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি/আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৫.১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাট বাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌ যানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩,৩৩৪টি), এপ্রিল (৩,১৪১টি), মে (৩,২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২,৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২,৭১৩টি, জুন মাসে ২৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুনের ঘটনা কম ঘটে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

এক বছরে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৭৯২ কোটি টাকার

প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদায়ী বছরে দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসের লাইন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বেশি। এসব আগুনে মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের। এছাড়া ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা পায়। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হন।

এদিকে আগুন নির্বাপণের সময় ৪৮ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নি নির্বাপণে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২%), বিড়ি সিগারেট জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬%), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১%), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪%), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯%), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫%) এবং বাজি পোড়ানো থেকে ৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি/আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৫.১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাট বাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌ যানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩,৩৩৪টি), এপ্রিল (৩,১৪১টি), মে (৩,২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২,৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২,৭১৩টি, জুন মাসে ২৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুনের ঘটনা কম ঘটে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী।