Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক পরিবারে তিনজনের বেশি ব্যাংক পরিচালক নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এক পরিবার থেকে ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে তিনজনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এমন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাশেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকার নিয়ম রয়েছে। এটা পরিবর্তন করে এখন সর্বোচ্চ তিনজন করা হয়েছে। এর বেশি থাকতে পারবে না।

সচিব আরও বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এমনকি ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও তিনি পরবর্তী পাঁচ বছর আর পরিচালক হতে পারবেন না।

খসড়া আইন অনুযায়ী, ঋণ খেলাপিদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। ইচ্ছেকৃত ঋণ খেলাপি হলে ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা। জরিমানা এককালীন এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন ১ লাখ করে জরিমানা দিতে হবে।

আগে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারতেন। আর তিন বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ছয় বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারতেন। এরপর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারতেন।

২০১৭ সালের ৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়। সেখানে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারের চার সদস্য রাখার কথা বলা হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদনের পর থেকে ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। সেই সিদ্ধান্তে বেসরকারি ব্যাংকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সুযোগ তৈরি হবে বলেও প্রতিক্রিয়া আসে।

এমন সমালোচনার মধ্যেই ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে ব্যাংক কোম্পানি আইন (সংশোধন) বিল পাস হয়। সেই বিল পাসের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারের চার সদস্য থাকার সুযোগ তৈরি হয়। এবং পরিচালক পদে একটানা নয় বছর থাকার বিধান চালু হয়। এতদিন ধরে এই নিয়মও চলে আসছে। এবার চারজনের পরিবর্তে একই পরিবারের তিনজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না বলে মন্ত্রিসভার খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ

এক পরিবারে তিনজনের বেশি ব্যাংক পরিচালক নয়

প্রকাশের সময় : ০৪:১২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এক পরিবার থেকে ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে তিনজনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এমন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাশেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকার নিয়ম রয়েছে। এটা পরিবর্তন করে এখন সর্বোচ্চ তিনজন করা হয়েছে। এর বেশি থাকতে পারবে না।

সচিব আরও বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এমনকি ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও তিনি পরবর্তী পাঁচ বছর আর পরিচালক হতে পারবেন না।

খসড়া আইন অনুযায়ী, ঋণ খেলাপিদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। ইচ্ছেকৃত ঋণ খেলাপি হলে ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা। জরিমানা এককালীন এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন ১ লাখ করে জরিমানা দিতে হবে।

আগে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারতেন। আর তিন বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ছয় বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারতেন। এরপর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারতেন।

২০১৭ সালের ৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়। সেখানে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারের চার সদস্য রাখার কথা বলা হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদনের পর থেকে ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। সেই সিদ্ধান্তে বেসরকারি ব্যাংকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সুযোগ তৈরি হবে বলেও প্রতিক্রিয়া আসে।

এমন সমালোচনার মধ্যেই ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে ব্যাংক কোম্পানি আইন (সংশোধন) বিল পাস হয়। সেই বিল পাসের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারের চার সদস্য থাকার সুযোগ তৈরি হয়। এবং পরিচালক পদে একটানা নয় বছর থাকার বিধান চালু হয়। এতদিন ধরে এই নিয়মও চলে আসছে। এবার চারজনের পরিবর্তে একই পরিবারের তিনজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না বলে মন্ত্রিসভার খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।