Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যানজট ও ভোগান্তি নিরসনে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২২ হাজার ৮০৫টি যানবাহন চলাচলে এক্সপ্রেসওয়েতে এই টোল আদায় হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১২ হাজার ২৪২টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে।

প্রথম দিনে ব্যক্তিগত গাড়ির প্রাধান্য থাকলেও গণপরিবহন খুব একটা চলতে দেখা যায়নি। মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ দুই ও তিন চাকার কোনো যান চলবে না, পথচারী চলাচলও নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ উড়াল পথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার সকাল ৬টায় উড়াল পথটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

চালু হওয়া অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র‌্যাম্প আছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্টে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানী চারটি, মহাখালী তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। আজ থেকে ১৩টি র‌্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ধাপের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্পটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ এবং চায়নাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শোনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক গ্র্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে।

প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৯৪০ কোটি টাকা যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় ৪ বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা

প্রকাশের সময় : ১২:৩১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যানজট ও ভোগান্তি নিরসনে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২২ হাজার ৮০৫টি যানবাহন চলাচলে এক্সপ্রেসওয়েতে এই টোল আদায় হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১২ হাজার ২৪২টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে।

প্রথম দিনে ব্যক্তিগত গাড়ির প্রাধান্য থাকলেও গণপরিবহন খুব একটা চলতে দেখা যায়নি। মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ দুই ও তিন চাকার কোনো যান চলবে না, পথচারী চলাচলও নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ উড়াল পথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার সকাল ৬টায় উড়াল পথটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

চালু হওয়া অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র‌্যাম্প আছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্টে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানী চারটি, মহাখালী তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। আজ থেকে ১৩টি র‌্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ধাপের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্পটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ এবং চায়নাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শোনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক গ্র্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে।

প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৯৪০ কোটি টাকা যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় ৪ বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।