Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একের পর এক বড় মার্কেটে আগুন সন্দেহজনক: পরিকল্পনামন্ত্রী

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ। এই শান্তিপূর্ণ দেশে একের পর এক বড় বড় মার্কেটে আগুন লাগছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটা আসলেই সন্দেহের বিষয়।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ৩৬৪ হতদরিদ্রকে চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এতো সংখ্যক আগুনের ঘটনা ভীতি সৃষ্টি করছে। এর পিছনে কিছু আছে কিনা সরকার অবশ্যই খতিয়ে দেখবে। আগুন সন্ত্রাসের কথা ভুলে যাইনি আমরা, আমাদের ইতিহাসে আগুন সন্ত্রাস আছে। যারা যেকোনো মূল্যে সরকার পাল্টাতে চায় নিয়মকানুনের বাইরে গিয়ে, আইনের বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে। থাকতে দেব না, চলে যেতে হবে এই বলে আমাদের ধমক দেয়। এই ধরনের কথাবার্তা গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র নয়। এই ধারার মধ্যে অতি উৎসাহে কেউ কিছু করছে কি না সরকারের দেখা উচিত।

মন্ত্রী বলেন, এপ্রিল মাসে দেশে সবকিছুর দাম বাড়লেও আগামী মে মাস থেকে নিত্যপণ্যের দাম কমে আসবে। কারণ মে মাসে হাওরের সম্পূর্ণ ধান ঘরে উঠে যাবে। ধান চালের দামটাই মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ। ধান ঘরে উঠে গেলে আশা করি মে থেকে সবকিছুর দাম কমে যাবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামের মানুষ এখন আর অবহেলিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী ও শিশুদের প্রতি বিশেষ সহমর্মিতা রয়েছে। নারী-পুরুষদের উন্নয়নের জন্য সরকার সমানভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছেন। অতিদরিদ্রদের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। দেশে এমন কোনো মানুষ নেই যারা না খেয়ে ঘুমায়। ৯৭ ভাগ শিশু এখন স্কুলে যায়, বিনামূল্যে সরকারি বই পায়। স্কুলের শিশুদের ইউনিফর্ম ও স্কুল ড্রেস দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, হাওরের এলাকার উড়ালসড়কের কাজ কেন কম হচ্ছে জানি না। দিরাই, শাল্লা, আজমিরিগঞ্জ সড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রেললাইন তৈরির কাজ হবে। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন, আমরা তাকে সহযোগিতা করছি। আমি পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করি। প্রকল্প ব্যয় ৫০ কোটি টাকার বেশি সমীক্ষা করতে হয়। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে হবে। গ্রামের মানুষের আয় আগের থেকে বেড়েছে। গ্রামে প্রযুক্তি ঢুকেছে, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে। আগে গ্রামের মানুষ অবহেলিত ছিলেন, এখন তারা অবহেলিত নন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৩৪৬ জন রোগীকে সরকারের দেওয়া ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পৌর মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদসহ অন্যান্যরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

একের পর এক বড় মার্কেটে আগুন সন্দেহজনক: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:১৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ। এই শান্তিপূর্ণ দেশে একের পর এক বড় বড় মার্কেটে আগুন লাগছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটা আসলেই সন্দেহের বিষয়।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ৩৬৪ হতদরিদ্রকে চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এতো সংখ্যক আগুনের ঘটনা ভীতি সৃষ্টি করছে। এর পিছনে কিছু আছে কিনা সরকার অবশ্যই খতিয়ে দেখবে। আগুন সন্ত্রাসের কথা ভুলে যাইনি আমরা, আমাদের ইতিহাসে আগুন সন্ত্রাস আছে। যারা যেকোনো মূল্যে সরকার পাল্টাতে চায় নিয়মকানুনের বাইরে গিয়ে, আইনের বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে। থাকতে দেব না, চলে যেতে হবে এই বলে আমাদের ধমক দেয়। এই ধরনের কথাবার্তা গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র নয়। এই ধারার মধ্যে অতি উৎসাহে কেউ কিছু করছে কি না সরকারের দেখা উচিত।

মন্ত্রী বলেন, এপ্রিল মাসে দেশে সবকিছুর দাম বাড়লেও আগামী মে মাস থেকে নিত্যপণ্যের দাম কমে আসবে। কারণ মে মাসে হাওরের সম্পূর্ণ ধান ঘরে উঠে যাবে। ধান চালের দামটাই মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ। ধান ঘরে উঠে গেলে আশা করি মে থেকে সবকিছুর দাম কমে যাবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামের মানুষ এখন আর অবহেলিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী ও শিশুদের প্রতি বিশেষ সহমর্মিতা রয়েছে। নারী-পুরুষদের উন্নয়নের জন্য সরকার সমানভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছেন। অতিদরিদ্রদের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। দেশে এমন কোনো মানুষ নেই যারা না খেয়ে ঘুমায়। ৯৭ ভাগ শিশু এখন স্কুলে যায়, বিনামূল্যে সরকারি বই পায়। স্কুলের শিশুদের ইউনিফর্ম ও স্কুল ড্রেস দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, হাওরের এলাকার উড়ালসড়কের কাজ কেন কম হচ্ছে জানি না। দিরাই, শাল্লা, আজমিরিগঞ্জ সড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রেললাইন তৈরির কাজ হবে। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন, আমরা তাকে সহযোগিতা করছি। আমি পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করি। প্রকল্প ব্যয় ৫০ কোটি টাকার বেশি সমীক্ষা করতে হয়। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে হবে। গ্রামের মানুষের আয় আগের থেকে বেড়েছে। গ্রামে প্রযুক্তি ঢুকেছে, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে। আগে গ্রামের মানুষ অবহেলিত ছিলেন, এখন তারা অবহেলিত নন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৩৪৬ জন রোগীকে সরকারের দেওয়া ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পৌর মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদসহ অন্যান্যরা।