নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসকে ঘিরে কোনও ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সব আয়োজন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ফুট পেট্রোলিং, ড্রোন পেট্রোলিং, মোবাইল পেট্রোলিং এবং সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকির কোনো তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই মানুষজন এখানে আসবেন। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় কিছু কিছু গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। আমরা লিখিতভাবে জানিয়ে দেব। সাধারণত পলাশীর মোড় থেকে এখানে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই এলাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলো দেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা সেটি জানিয়ে দিয়েছি। এখানে আমাদের একটি ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া আছে। যারা আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, শৃঙ্খলা মেনে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এখানে রেখে আসবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ক্যামেরার মাধ্যমে সব ধরনের সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট এবং সিকিউরিটি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি যেহেতু গভীর রাত এবং ঢাকা শহরের মানুষ এদিকে আসবেন সেজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। সাধারণত পলাশীর মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে আসার রাস্তাটা রাখা হয়েছে এবং বাহির হওয়ার রাস্তাটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ সবাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখানে আসবেন এবং শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। সব নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, পলাশী মোড় থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। শহীদ মিনারে ৪ স্তরে নিরারাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমগ্র এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় আচ্ছাদিত থাকবে। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল টিম, সোয়াট টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, সবাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখানে আসবেন এবং শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। সব নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে সারা বিশ্বে নন্দিত হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ সারাবিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা হয়ে থাকে। জঙ্গির নিয়ন্ত্রণে টিম সিটিটিসি, এটিইউসহ আমাদের অন্য সংস্থা নিয়মিত কাজ করছে। এই মুহূর্তে জঙ্গি হুমকির কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও পুলিশ সব হুমকি মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















