Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একাকিত্ব ঘোচাতে বিয়ের পিঁড়িতে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

একাকিত্ব ঘোচাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ছেলে-মেয়েদের অনুমতি নিয়ে ৭৫ বছর বয়সে তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মো. আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনু মোল্লা। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাস্টারের পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার স্ত্রীর বয়স (৫০) বছর।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়ে ও এলাকাবাসীর উপস্থিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা যায়, মো. আনোয়ার মোল্লার এটা তৃতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় একযুগ আগে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে ছয় বছর আগে। সেই স্ত্রীদের পক্ষের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। তারা বাবার একাকিত্বের কথা ভেবে তৃতীয় বিয়েতে সম্মতি দিয়েছেন।

প্রতিবেশী রত্মা আক্তার বলেন, আনু কাকা অনেক দিন হলো বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজেছেন। তার ছেলে-মেয়েরা বাবার একাকিত্বের কথা ভেবেই বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি করেননি।

এ বিষয়ে মো. আনোয়ার মোল্লা বলেন, আমি ছেলে-মেয়েদেরকে আমার বিয়ের কথা বলেছি। তারা আমাকে মেয়ে দেখতে বলেছে। মেয়ে দেখে পছন্দ করে বাড়িতে নিয়ে আসি। পাত্রীর কোনো চাহিদা নেই। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে গত রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, ফেসবুকে বিয়ের ছবি থেকে দেখেছি। পরে লোকজন আমাকে অবগত করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

একাকিত্ব ঘোচাতে বিয়ের পিঁড়িতে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

একাকিত্ব ঘোচাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ছেলে-মেয়েদের অনুমতি নিয়ে ৭৫ বছর বয়সে তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মো. আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনু মোল্লা। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাস্টারের পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার স্ত্রীর বয়স (৫০) বছর।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়ে ও এলাকাবাসীর উপস্থিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা যায়, মো. আনোয়ার মোল্লার এটা তৃতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় একযুগ আগে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে ছয় বছর আগে। সেই স্ত্রীদের পক্ষের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। তারা বাবার একাকিত্বের কথা ভেবে তৃতীয় বিয়েতে সম্মতি দিয়েছেন।

প্রতিবেশী রত্মা আক্তার বলেন, আনু কাকা অনেক দিন হলো বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজেছেন। তার ছেলে-মেয়েরা বাবার একাকিত্বের কথা ভেবেই বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি করেননি।

এ বিষয়ে মো. আনোয়ার মোল্লা বলেন, আমি ছেলে-মেয়েদেরকে আমার বিয়ের কথা বলেছি। তারা আমাকে মেয়ে দেখতে বলেছে। মেয়ে দেখে পছন্দ করে বাড়িতে নিয়ে আসি। পাত্রীর কোনো চাহিদা নেই। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে গত রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, ফেসবুকে বিয়ের ছবি থেকে দেখেছি। পরে লোকজন আমাকে অবগত করেছেন।