নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার প্রেক্ষিতে একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম কমানো হয়েছে এক হাজার ৩৫৩ টাকা। ফলে এখন এক ভরি সোনা দাম কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ০৮ হাজার ১৬৭ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩৫৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩০৭ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪৪ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকা।
বাজুস জানিয়েছে, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২০ নভেম্বর থেকে।
সবমিলিয়ে চলতি বছর দেশে মোট ৮০ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যেখানে ৫৪ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে, আর দাম কমেছে মাত্র ২৬ বার। অন্যদিকে গতবছর দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সমন্বয় করা হয়েছিল সোনার দাম। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া গতবছর ২৭ বার সোনার দাম কমিয়েছিল বাজুস।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















