নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার পতনের একদফা দাবিতে ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এরমধ্যে রাজধানী কেন্দ্রিক সমাবেশ ও পদযাত্রা রয়েছে। একই দাবিতে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সেমিনার এবং আলোচনা সভাও করবে দলটি।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানী পুরানা পল্টন দারুস সালাম বিল্ডিংয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে সমাবেশ ও পদযাত্রা। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের নিজস্ব কর্মসূচি হিসেবে ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা কেন সাংবিধানিক নয়?’; ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রয়োজনীয়তা’; ‘গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণে বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক সংবিধান বড় বাঁধা’; এবং ‘আগামীর বাংলাদেশ সংস্কারের ৩১ দফার আবশ্যিকতা’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা করার কথা জানান।

এছাড়া আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচির তারিখ ও স্থান পরবর্তীতে জানানো বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় দিতে আন্দোলন যত বেগবান হচ্ছে সরকারের দমন নিপীড়নও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইন আদালতকে তারা বিরোধী দল দমনে এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। হয়রানি ও নিপীড়নমূলক ধারা বহাল রেখে তারা আবার সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের অংশ হিসাবে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এইসব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে আর একটি নীলনকশার একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রলম্বিত করা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকারের পতন ঘটাতে সামনে আসছে আখেরি লড়াই। এ জন্য অবরোধ, হরতাল, ঘেরাও কর্মসূচির মতো আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার গঠন করা হবে। আন্দোলন সেই দিকেই যাচ্ছে।

নেতাদের বক্তব্যে, আগামী নভেম্বরে নতুন সরকার গঠনের আভাসও উঠে আসে। তবে সেই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হবে কিনা সে সর্ম্পকে স্পষ্টতা পাওয়া যায়নি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সহ সভাপতি তানিয়া রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।