Dhaka রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায় : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। এ সময় আওয়ামী লীগের আমলে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণ সমাজের মন-মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবাই সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা সকলের মধ্যে এসেছে। পুরানো ধাঁচের রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না। এ সময় বিএনপিকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করতে চান।

একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে, সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে পরাজিত হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।

‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন করে আলোকিত করার চেষ্টা করছেন। জনগণের কাছে নতুন চিন্তা তুলে ধরার দায়িত্ব শুরুতেই ছাত্রদলকে দেয়া হচ্ছে’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশে দেড় বছরে এক কোটি লোকের কাজের সংস্থান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ গড়ার কর্মসূচির এই পরিকল্পনা প্রমাণ করছে বিএনপি একটি অ্যাডভান্সড পলিটিক্যাল পার্টি। বর্তমানে বিএনপিকে নেগেটিভ পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে দেখানোর একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যা ভেঙে ফেলতে হবে। বিএনপি সবসময়ই পথ, জানালা খুলে দিয়েছে।’

দেশের সব ভালো অর্জন বিএনপির দাবি করে তিনি বলেন, যুগসন্ধিক্ষণে আছি আমরা। অনেক বাধা আসছে, এসব পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে আমরা পরাজিত হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভালো করতে না পারার কারণ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি কম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনগুলোতে ছাত্রদল ভালো করতে পারেনি। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলের পদচারণা বাড়াতে হবে।

ছাত্রদলকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই দেশ গড়ার কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। পরিবর্তন সবাই চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাওয়ার ভাবনা সবার মধ্যেই এসেছে। পুরোনো রাষ্ট্র কাঠামো আর উপযোগী থাকছে না।

মির্জা ফখরুর বলেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়। ধর্মকে দিয়ে রাষ্ট্র আর সমাজে বিভাজন আমরা বিশ্বাস করি না। সবার আগে বাংলাদেশ মাথায় গেঁথে নিতে হবে। সমস্ত অপপ্রয়াস পেরিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে ছাত্রদল।

তিনি বলেন, তরুণ সমাজের মন-মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবাই সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা সকলের মধ্যে এসেছে। পুরানো ধাঁচের রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না।

বিএনপির দেয়া ৩১ দফা নিয়ে তিনি বলেন, গ্রামে আমাদের ৩১ দফা সেভাবে পৌঁছায়নি। তবে এই দেশ গড়ার কর্মসূচিতে যেগুলো রয়েছে, সেগুলো পৌঁছে দিতে পারলে সফলতা আসবে।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারেক রহমান নিজেই পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। এতো মানুষের প্রার্থনা স্রষ্টা নিশ্চয়ই কবুল করবেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আয়কর রিটার্ন জমা থেকে অব্যাহতি পেল রেলওয়ে

একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায় : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১২:২০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। এ সময় আওয়ামী লীগের আমলে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণ সমাজের মন-মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবাই সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা সকলের মধ্যে এসেছে। পুরানো ধাঁচের রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না। এ সময় বিএনপিকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করতে চান।

একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে, সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে পরাজিত হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।

‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন করে আলোকিত করার চেষ্টা করছেন। জনগণের কাছে নতুন চিন্তা তুলে ধরার দায়িত্ব শুরুতেই ছাত্রদলকে দেয়া হচ্ছে’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশে দেড় বছরে এক কোটি লোকের কাজের সংস্থান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ গড়ার কর্মসূচির এই পরিকল্পনা প্রমাণ করছে বিএনপি একটি অ্যাডভান্সড পলিটিক্যাল পার্টি। বর্তমানে বিএনপিকে নেগেটিভ পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে দেখানোর একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যা ভেঙে ফেলতে হবে। বিএনপি সবসময়ই পথ, জানালা খুলে দিয়েছে।’

দেশের সব ভালো অর্জন বিএনপির দাবি করে তিনি বলেন, যুগসন্ধিক্ষণে আছি আমরা। অনেক বাধা আসছে, এসব পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে আমরা পরাজিত হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভালো করতে না পারার কারণ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি কম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনগুলোতে ছাত্রদল ভালো করতে পারেনি। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলের পদচারণা বাড়াতে হবে।

ছাত্রদলকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই দেশ গড়ার কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। পরিবর্তন সবাই চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাওয়ার ভাবনা সবার মধ্যেই এসেছে। পুরোনো রাষ্ট্র কাঠামো আর উপযোগী থাকছে না।

মির্জা ফখরুর বলেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়। ধর্মকে দিয়ে রাষ্ট্র আর সমাজে বিভাজন আমরা বিশ্বাস করি না। সবার আগে বাংলাদেশ মাথায় গেঁথে নিতে হবে। সমস্ত অপপ্রয়াস পেরিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে ছাত্রদল।

তিনি বলেন, তরুণ সমাজের মন-মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবাই সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা সকলের মধ্যে এসেছে। পুরানো ধাঁচের রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না।

বিএনপির দেয়া ৩১ দফা নিয়ে তিনি বলেন, গ্রামে আমাদের ৩১ দফা সেভাবে পৌঁছায়নি। তবে এই দেশ গড়ার কর্মসূচিতে যেগুলো রয়েছে, সেগুলো পৌঁছে দিতে পারলে সফলতা আসবে।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারেক রহমান নিজেই পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। এতো মানুষের প্রার্থনা স্রষ্টা নিশ্চয়ই কবুল করবেন।