Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের রচয়িতা আবু জাফর মারা গেছেন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

দেশের গান ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’-এর গীতিকার, সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বয়সজনিত কারণে নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন আবু জাফর। গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন লোক-গবেষক সাইমন জাকারিয়া।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন অসুস্থতায় ভুগছিলেন আবু জাফর। তিনি এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন ছিলেন তার সাবেক স্ত্রী।

একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন আবু জাফর। পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবু জাফর। তার বাবা খোন্দকার মো.জমির উদ্দিন।

রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন আবু জাফর। শ্রোতা-দর্শক মহলে তুমুল সাড়া ফেলে তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গানগুলো। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ অন্যতম। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল আবু জাফরের এই গানটি।

বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো, ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’(কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য)।

আবু জাফর রচিত অনন্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন আবু জাফর। ক্ষেত্রবিশেষে তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের রচয়িতা আবু জাফর মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

দেশের গান ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’-এর গীতিকার, সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বয়সজনিত কারণে নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন আবু জাফর। গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন লোক-গবেষক সাইমন জাকারিয়া।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন অসুস্থতায় ভুগছিলেন আবু জাফর। তিনি এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন ছিলেন তার সাবেক স্ত্রী।

একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন আবু জাফর। পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবু জাফর। তার বাবা খোন্দকার মো.জমির উদ্দিন।

রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন আবু জাফর। শ্রোতা-দর্শক মহলে তুমুল সাড়া ফেলে তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গানগুলো। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ অন্যতম। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল আবু জাফরের এই গানটি।

বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো, ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’(কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য)।

আবু জাফর রচিত অনন্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন আবু জাফর। ক্ষেত্রবিশেষে তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন।