Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই দেশের মানুষের পাকিস্তানের রাজাকারদের প্রতি কোনো সমর্থন নেই : হানিফ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই দেশের মানুষের পাকিস্তানের রাজাকারদের প্রতি কোনো সমর্থন নেই। যারা মির্জা ফখরুলদের মতো রাজাকারের শাবক, তারা এই বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, পাকিস্তানের ধারায় নিয়ে যেতে চায়। সেই ধারায় তরুণ- যুবকদের কোনো সমর্থন নেই। সাধারণ মানুষেরও কোনো সমর্থন নেই। অতএব আপনাদের হতাশই হতে হবে। আগামী দিনে আপনাদের জন্য আরও চরম হতাশা অপেক্ষা করছে, সে জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল, হতাশা তো কেবল শুরু হয়েছে। আপনারা ভেবেছিলেন আপনাদের বিদেশি প্রভুরা এসে আপনাদের ক্ষমতায় এসে বসিয়ে দিয়ে যাবে এবং সেই ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে, মুলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে ভেবেছিলেন, এই আন্দোলনে হয়তো সরকারের পতন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, এই সরকার আওয়ামী লীগের সরকার, এই সরকার শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারের প্রতি দেশের ৭০-৮০ ভাগ মানুষের সমর্থন আছে। অতএব এই সরকারকে এভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না। এতে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না, তা আজকে প্রমাণিত।

২১ আগস্টের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে হানিফ বলেন, অপরাধ না করলে কেন তারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। সরকার প্রধান হিসেবে প্রতিটি ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ওপর পড়ে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, হাওয়া ভবনে একাধিকবার পরিকল্পনা হয়েছে।

মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বললেন, ২১ আগস্ট না জানিয়ে সভাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছিল, এটি জঘন্য মিথ্যাচার। ১৮ তারিখে জানিয়ে দিয়েছিলো মুক্তাঙ্গনে অনুমতি নেই, এজন্য ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশ হবে, তা ১৯ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মুক্তাঙ্গনে অনুমতি দেওয়া হয়নি, কারণ সেখানে হয়তো হামলায় সুবিধা করতে পারতো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে চতুর্দিকে অনেক বিল্ডিংয় সেজন্যই সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, তরুণ সমাজ, যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না, সুনামি তৈরি করতে হবে। তিনি তরুণ সমাজ, যুব সমাজের কোনো ভূমিকা না দেখে খুব হতাশ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু বাংলাদেশকে পিছনে নিয়ে যেতে দেখতে চায় না কেউ। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ, যুব সমাজ, তারা তো এগিয়ে যেতে চায়। এখন সময়টা তো এগিয়ে যাওয়ার, তারা ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ দেখতে চায়।

দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আগামীতে মধ্যম আয়ের দেশ হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সেই বাংলাদেশই দেখতে চায় এই দেশের তরুণ সমাজ যুব সমাজ। তারা কেন বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাবে ? কাজেই টেক ব্যাক বাংলাদেশে এই দেশের তরুণ সমাজ যুব সমাজ বা সাধারণ মানুষের কোনো সমর্থন নেই।

আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ প্রমুখ।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

এই দেশের মানুষের পাকিস্তানের রাজাকারদের প্রতি কোনো সমর্থন নেই : হানিফ

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই দেশের মানুষের পাকিস্তানের রাজাকারদের প্রতি কোনো সমর্থন নেই। যারা মির্জা ফখরুলদের মতো রাজাকারের শাবক, তারা এই বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, পাকিস্তানের ধারায় নিয়ে যেতে চায়। সেই ধারায় তরুণ- যুবকদের কোনো সমর্থন নেই। সাধারণ মানুষেরও কোনো সমর্থন নেই। অতএব আপনাদের হতাশই হতে হবে। আগামী দিনে আপনাদের জন্য আরও চরম হতাশা অপেক্ষা করছে, সে জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল, হতাশা তো কেবল শুরু হয়েছে। আপনারা ভেবেছিলেন আপনাদের বিদেশি প্রভুরা এসে আপনাদের ক্ষমতায় এসে বসিয়ে দিয়ে যাবে এবং সেই ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে, মুলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে ভেবেছিলেন, এই আন্দোলনে হয়তো সরকারের পতন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, এই সরকার আওয়ামী লীগের সরকার, এই সরকার শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারের প্রতি দেশের ৭০-৮০ ভাগ মানুষের সমর্থন আছে। অতএব এই সরকারকে এভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না। এতে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না, তা আজকে প্রমাণিত।

২১ আগস্টের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে হানিফ বলেন, অপরাধ না করলে কেন তারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। সরকার প্রধান হিসেবে প্রতিটি ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ওপর পড়ে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, হাওয়া ভবনে একাধিকবার পরিকল্পনা হয়েছে।

মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বললেন, ২১ আগস্ট না জানিয়ে সভাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছিল, এটি জঘন্য মিথ্যাচার। ১৮ তারিখে জানিয়ে দিয়েছিলো মুক্তাঙ্গনে অনুমতি নেই, এজন্য ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশ হবে, তা ১৯ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মুক্তাঙ্গনে অনুমতি দেওয়া হয়নি, কারণ সেখানে হয়তো হামলায় সুবিধা করতে পারতো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে চতুর্দিকে অনেক বিল্ডিংয় সেজন্যই সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, তরুণ সমাজ, যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না, সুনামি তৈরি করতে হবে। তিনি তরুণ সমাজ, যুব সমাজের কোনো ভূমিকা না দেখে খুব হতাশ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু বাংলাদেশকে পিছনে নিয়ে যেতে দেখতে চায় না কেউ। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ, যুব সমাজ, তারা তো এগিয়ে যেতে চায়। এখন সময়টা তো এগিয়ে যাওয়ার, তারা ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ দেখতে চায়।

দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আগামীতে মধ্যম আয়ের দেশ হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সেই বাংলাদেশই দেখতে চায় এই দেশের তরুণ সমাজ যুব সমাজ। তারা কেন বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাবে ? কাজেই টেক ব্যাক বাংলাদেশে এই দেশের তরুণ সমাজ যুব সমাজ বা সাধারণ মানুষের কোনো সমর্থন নেই।

আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ প্রমুখ।