Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উড়াল সড়ক অনুমোদন : হাওরে আনন্দের বন্যা

উড়াল সড়ক অনুমোদনের পর হাওরে আনন্দ মিছিল

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ (ভায়া জয়শ্রী-সুখাইড়-সাচনা বাজার) পর্যন্ত ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’ একনেকে অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে ধর্মপাশায় আনন্দ মিছিল হয়েছে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জলভূমিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে হাওর অঞ্চলে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা সহজ হবে। হাওর-সহিষ্ণু অবকাঠামো উন্নয়নপূর্বক এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটি অকনেকে অনুমোদনের পর ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আনন্দ মিছিল শেষে খাদ্যগুদাম সংলগ্ন মোড়ে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হাই তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকসি।

এছড়াও অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোকাররক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. ফেরদৌসুর রহমান, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর কবির, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি এম.এম.এ রেজা পহেল, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ।

 

উড়াল সড়ক অনুমোদন : হাওরে আনন্দের বন্যা
উড়াল সড়ক অনুমোদন হওয়ায় আনন্দ মিছিল

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকেও পৃথক আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

অপরদিকে এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’সহ মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর-মহিষখলা সড়ক ও মধ্যনগর-টুকের বাজার সড়ক একনেকে অনুমোদন হওয়ায় পৃথকভাবে আনন্দ মিছিল করেছে মধ্যনগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিছিল শেষে বক্তব্য দেন মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোবারক হোসেন তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম খান রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পারভেজ আহমেদ প্রমুখ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওরের ওপর দিয়ে ১১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণে ব্যয় করবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পর্যটন আরও সমৃদ্ধ হবে। হাওর পরিস্থিতি সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর এলাকায় সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে, কৃষি উৎপাদন ও বিপণনে সহায়ক হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক এবং ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন করা হবে। ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার সাবমার্সিবল উপজেলা সড়ক, ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সাবমার্সিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক, ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক উন্নয়ন; এবং ৫৭টি ব্রিজ ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে, যার মোট দৈর্ঘ্য হবে ৫ হাজার ৬৮৮ মিটার।

কমিশন জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রাম, ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, গ্রোথ সেন্টার ও বাজার উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বিধায় প্রকল্পটি ওই পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এ বিষয় পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বছর মালামাল পরিবহন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি দ্রুত ও সুলভে পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে। অধিকন্তু, প্রকল্পটি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখবে।

জানা গেছে, পানিতে তলিয়ে যাবে এমন ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রস্তাবিত উড়াল সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত উড়াল সড়কে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে। প্রতিবছর বর্ষাকালে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাওর এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

প্রকল্প পরিকল্পনায় জানা গেছে, পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে উড়াল সড়কের দুই পাশে অন্তত ৬ থেকে ৭টি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাওরের আওতাভুক্ত দুটি জেলার ৫টি উপজেলার জনগণ এর দ্বারা অর্থনৈতিক সুফল পাবে। বদলে যাবে এখানকার সামাজিক অর্থনৈতিক পরিবেশ। বিষয়টি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেই নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

উড়াল সড়ক অনুমোদন : হাওরে আনন্দের বন্যা

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ (ভায়া জয়শ্রী-সুখাইড়-সাচনা বাজার) পর্যন্ত ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’ একনেকে অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে ধর্মপাশায় আনন্দ মিছিল হয়েছে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জলভূমিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে হাওর অঞ্চলে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা সহজ হবে। হাওর-সহিষ্ণু অবকাঠামো উন্নয়নপূর্বক এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটি অকনেকে অনুমোদনের পর ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আনন্দ মিছিল শেষে খাদ্যগুদাম সংলগ্ন মোড়ে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হাই তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকসি।

এছড়াও অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোকাররক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. ফেরদৌসুর রহমান, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর কবির, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি এম.এম.এ রেজা পহেল, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ।

 

উড়াল সড়ক অনুমোদন : হাওরে আনন্দের বন্যা
উড়াল সড়ক অনুমোদন হওয়ায় আনন্দ মিছিল

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকেও পৃথক আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

অপরদিকে এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’সহ মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর-মহিষখলা সড়ক ও মধ্যনগর-টুকের বাজার সড়ক একনেকে অনুমোদন হওয়ায় পৃথকভাবে আনন্দ মিছিল করেছে মধ্যনগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিছিল শেষে বক্তব্য দেন মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোবারক হোসেন তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম খান রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পারভেজ আহমেদ প্রমুখ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওরের ওপর দিয়ে ১১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণে ব্যয় করবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পর্যটন আরও সমৃদ্ধ হবে। হাওর পরিস্থিতি সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর এলাকায় সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে, কৃষি উৎপাদন ও বিপণনে সহায়ক হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক এবং ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন করা হবে। ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার সাবমার্সিবল উপজেলা সড়ক, ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সাবমার্সিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক, ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক উন্নয়ন; এবং ৫৭টি ব্রিজ ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে, যার মোট দৈর্ঘ্য হবে ৫ হাজার ৬৮৮ মিটার।

কমিশন জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রাম, ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, গ্রোথ সেন্টার ও বাজার উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বিধায় প্রকল্পটি ওই পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এ বিষয় পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বছর মালামাল পরিবহন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি দ্রুত ও সুলভে পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে। অধিকন্তু, প্রকল্পটি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখবে।

জানা গেছে, পানিতে তলিয়ে যাবে এমন ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রস্তাবিত উড়াল সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত উড়াল সড়কে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে। প্রতিবছর বর্ষাকালে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাওর এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

প্রকল্প পরিকল্পনায় জানা গেছে, পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে উড়াল সড়কের দুই পাশে অন্তত ৬ থেকে ৭টি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাওরের আওতাভুক্ত দুটি জেলার ৫টি উপজেলার জনগণ এর দ্বারা অর্থনৈতিক সুফল পাবে। বদলে যাবে এখানকার সামাজিক অর্থনৈতিক পরিবেশ। বিষয়টি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেই নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।