বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার উষ্ণতা ক্রমাগত বাড়ছে। বিভিন্নস্থানে দীর্ঘদিন ধরে দাবানলের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। জলবায়ুর দ্রুত এই পরিবর্তনে বাতাসের গুণমান কমে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে আগামী শতাব্দীর কয়েক কোটি মানুষ। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে এতথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত দুই বছরে মানব উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে পড়েছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দাবানলের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পৃথিবীর বাতাসে বাড়ছে দূষণ। এই দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনই আগামী শতাব্দীর কয়েক কোটি মানুষকে ক্ষতির মুখে ফেলবে বলে সতর্ককরেছে জাতিসংঘ। বুধবার জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, বৈশ্বিক বিস্তৃতি বিবেচনায় গত দুই দশকে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আয়তন কমেছে। দূষিত বাতাসের ক্ষুদ্র কণাগুলো ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের ভেতরে প্রবেশ করে বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এছাড়াও এটা বাস্তুতন্ত্রের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গেদাবদাহের মাত্রা, তীব্রতা এবং সময়কাল আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন ডব্লিউএমও প্রধান পেতেরি তালাস। এই পরিস্থিতিকে ‘জলবায়ু শাস্তি’ হিসেবে উলেখ করে বিশ্বকে রক্ষা করতে আগেই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, করোনা মহামারি, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকেই বৈশ্বিক উন্নয়নকে বিপরীতমুখী করার জন্যদায়ী করেছে জাতিসংঘ। গত দুই বছরে প্রতি ১০টির মধ্যে নয়টি দেশ জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে গিয়েছে বলেজানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদন।